Bank Written · BSC Written

ক্যাঁচালঃ সাধের আর্টস ফ্যাকাল্টি!

“ক্যাঁচালঃ সাধের আর্টস ফ্যাকাল্টি!”

এর আগে গ্রুপে একটি পোষ্ট দিয়ে জানতে চেয়েছিলাম আজকের বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার পদের রিটেন কেমন হলো? কমেন্ট বক্সের কমেন্টগুলো পড়ে অভিজ্ঞতা নিম্নরূপ-

রমজানেও সিয়াম-সাধনায় বিশ্রাম নেই! বেকার ভাই-বোন। বন্ধুদের চলছে জোরসে চাকুরির প্রস্তুতি। আসছে ঈদে বাড়ী গিয়ে যাতে কোন রকম নিজেকে যাতে বেকার হিসেবে পরিচয় দিতে না হয় তার জন্য প্রতিদিনই চলছে ফজর থেকে এশাবাদে মসজিদে-বাড়ীতে একাকিত্বে বিশেষ মোনাজাত!

আজ হয়ে গেল বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার পদের লিখিত পরীক্ষা। ব্যাংকজব সংক্রান্ত বড় একটি ফেসবুক স্টাডি গ্রুপের সাথে জড়িত থাকায় বুঝতে পারলাম আজকের পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের আক্ষেপ! কমার্সের ছাত্রের আক্ষেপ কেন সাইন্স নিয়ে পড়ে নাই। সাইন্সের ছাত্রের আক্ষেপ কেন আর্টস নিয়ে পড়ে নাই। আর্টসের ছাত্রের আক্ষেপ এমন প্রশ্ন আসলে তো ভাই মাথার উপ্রে দিয়ে যায়…….

আমি গর্বিত, আমি আর্টস ফ্যাকাল্টির একজন গর্দভ!

ঢাবির আর্টস ফ্যাকাল্টির করা আজকের প্রশ্নে চাকুরীপ্রার্থীরা হতাশ। নতুন নতুন ওয়েবসাইটের সঙ্গ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। পরীক্ষা আয়োজক প্রতিষ্ঠানের একের পর এক কৌশলে ধরাশায়ী পরীক্ষার্থীরা! কোন দিকেই কূল-কিনারা নাই। এত এত পড়েও কোন কমন নাই, আবার না পড়ে এক্সাম হলে গিয়ে প্রশ্নপত্র মাথায় ঠাডা ফেলে……

ইদানিং বেশকিছু এক্সামে এমন এমন প্রশ্ন আসে যা ভাবনাতেই আসে না পরীক্ষার্থীদের! কমন ও গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় পাশ কাটিয়ে যখন অযাচিত প্রশ্ন আসে তখন অযাচিত প্রশ্নের উত্তর প্রস্তুতিতেই ঝুকে পড়ছেন ম্যাংগো শিক্ষার্থীরা! গোগ্রাসে গিলছে তারা হাজারো প্রশ্নের উত্তর, যেগুলো বাস্তবিক কর্মজীবনে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক, অদরকারি আর হাস্যকর

একের পর এক পরীক্ষা আয়োজকদের কৌশলের কাছে পরাজিত না হয়ে এমন কিছু আজব প্রশ্নের উত্তরও জেনে নিন। বলা যায় না কমন না আসলেও ক্ষতি নেই! সামনেই সোনালি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের প্রিলিমিনারী পরীক্ষা। প্রস্তুতি নিন জোরসে!

বাংলা সাহিত্যে নিজেকে রাখুন সময়ের সাথে আপডেট। যেমন আজ আমাদের জাতীয় কবির জন্মদিন। কততম জন্মদিন, কত সালে দুনিয়ায় আসেন সেগুলো মনে হয় এখন তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং আর্টস ফ্যাকাল্টির সাম্প্রতিক প্রশ্নের ধরণ দেখে জেনে রাখুনঃ
👎কাজী নজরুল ইসলামের খালা শাশুড়ির নাম কী?
ক) ভানু বেগম
খ) রহিমা খালা
গ) নায়লা নাইম
ঘ) উপরের কোনোটিই নয়।

সাইন্স, আর্টস, কমার্স; আপনি যে ফ্যাকাল্টিরই হনু হন না কেন, দুনিয়ার বাসিন্দা হিসেবে আপনার ভৌগলিক জ্ঞান তারা যাচাই করবেই! সুতরাং অপশন গুলো থেকে উত্তর খুঁজে বাহির করে আর্টস ফ্যাকাল্টির মুখে ছুড়ে দিন। এমন একটি নমুনা প্রশ্ন হতে পারে-
👎পৃথিবীর কোন দ্বীপে কোনো টয়লেট নেই?
ক) হনলুলু
খ) উগান্ডা
গ) আজারবাইজান
ঘ) কাউয়ার চর

রমজান মাসেও সিনেমা হলে বিনোদন থেমে নেই। সুতরাং সাধারণ জ্ঞানের প্রস্তুতি হিসেবে আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে-
👎দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রেক্ষাগৃহ মনিহার সিনেমা হলে এখন কোন ছবি চলছে?
ক) চালবাজ
খ) মাদকবাজ
গ) আদাবাজ
ঘ) রসুনবাজ

পরীক্ষাগুলোতে মূল মেধাটা যাচাই হয় মূলতঃ ম্যাথে। গাণিতিক যুক্তিতে আপনি এগিয়ে থাকলেন তো, চাকুরি প্রাপ্তির দরজায় পৌঁছে গেলেন। আর্টস ফ্যাকাল্টি যে ধাঁচের প্রশ্ন করছে তাতে বাজারের প্রচলিত গণিত বইগুলো ধরাশায়ী! রমজান মাসে ব্যাংক কর্মকর্তারা মধ্য দুপুরে ছুটি পেলেও ঢাকা শহরের রাস্তার জ্যামেই তাদের ইফতারের সময় কেটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টিকে গানিতিক যুক্তির সাথেও আপনাকে আপডেট থাকতে হবে। যেমন-

👎ঢাকা শহরের প্রতিদিনের যানজটকে কোন সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়?
ক) মখা সাহেবের দেয়ালে ধাক্কাধাক্কির সূত্র দিয়ে
খ) নিউটনের আপেলের সূত্র দিয়ে
গ) বানরের তৈলাক্ত বাঁশের সূত্র দিয়ে
ঘ) কোনো সূত্রেই পড়ে না

আর্টস ফ্যাকাল্টির আজকের প্রশ্ন দেখলেই আপনি বুঝবেন সাম্প্রতিক বেশ কিছু বিষয়ের সাথে আপনাকে আপডেটেড হতে হবে। যেমন-
👎মেলানিয়া ট্রাম্প সকালে নাশতায় কী খেতে পছন্দ করেন?
ক) নুডুলসের কালা ভুনা
খ) নুডুলসের হট প্যাটিস
গ) নুডুলসের দম বিরিয়ানি
ঘ) নুডুলসের ককটেল

আর ক’দিন পরেই বিশ্বকাপ ফুটবল। সবাই এখন রাশিয়ার পথে। উত্তেজনায় কাপছে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশ বাদ যাবে কেন? অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না যদি আর্টস ফ্যাকাল্টি এমন প্রশ্ন দিয়ে বসে-
👎 নেইমার আর মেসি ঢালিউডের কোন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন?
ক) বন্ধু যখন শত্রু
খ) টাকা তুমি কার
গ) দুই ভাই চম্পা
ঘ) জানি দুশমন-২

আর্টস ফ্যাকাল্টির মুখোমুখি হতে হলে আপনাকে জানতে হবে আরও বেশ কিছু সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন ও উত্তর। যেমন-
👎ঢাকা/চট্টগ্রাম শহরে কোন ঋতুতে বন্যা নামে?
ক) বর্ষা
খ) শীত
গ) শরৎ
ঘ) যে কোনো সময় একটু বৃষ্টি নামলেই হয়

যে কোন চাকুরির পরীক্ষায় অনুবাদে মার্কস থাকেই। আজকের বিবির অফিসারের প্রশ্ন দেখলেই বুঝবেন সময়ের সাথে আপডেট থাকা কতটা জরুরী! আর্টস ফ্যাকাল্টির হাত থেকে বাঁচতে জেনে নিন এমন কিছু ট্রান্সলেশন!
👎 ‘হায় হায়, আমি এত স্মার্ট ক্যারে’-এর অনন্ত জলিল ভার্সন কী হবে?
ক) ইয়ো ইয়ো, ইটস এ.জে. বিউটিফুল ম্যান!
খ) ফিলিং ওয়াও, আই এম স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র!
গ) উলালা, হোওয়াই আই এম সো নাইচ!
ঘ) চাকবুম চাকবুম, আমি বুমবুম!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টির করা প্রশ্নের মুখোমুখি হবেব অথচ জানবেন না ইতিহাস, তা কী করে হয়? সুতরাং জেনে নিন-
👎সেলফি-পূর্ব যুগে মানুষ মোবাইল ফোন নিয়ে কী করত?
ক) বানরের মতো মুখ বাঁকা করে রাখত
খ) সুন্দর চোখকে ট্যারা করে তাকাত
গ) নাক সবসময় কুঁচকিয়ে রাখত
ঘ) ভদ্রলোকের মতো ফোনে কথা বলত

আর্টস ফ্যাকাল্টি বলে হয়তো ভাববেন তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কম বুঝে? প্রশ্ন আসবে না? ওহ! ব্রো…. ইটস ইওর ভুল ধারণা!! তবে সাইন্স ফ্যাকাল্টির থেকে প্রশ্ন সহজ হবে বলে অনুমান করতেই পারেন। যেমন –
👎হেঁচকি উঠলে কোন চিকিৎসা কাজে দেয়?
ক) ফেসবুকের ‘হেঁচকি থামানোর একশ’ একটি উপায়’ লিঙ্কের মতো চিকিৎসা নিতে হয়।
খ) ‘হেঁচকি নিয়ে একি করলেন আলিয়া ভাট’ ভিডিওটি দেখতে হয়।
গ) চিকিৎসক বন্ধুকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করতে হয়, ‘এই, আমার চিকুনগুনিয়া হয়নি তো?’
ঘ) কানের পেছনে কষিয়ে চড় দিতে হয়।

যাইহোক বন্ধুরা, আজ আর না। সারাদিনের সাওমে পেটের ভিতর ছুঁচো ডাকতেছে। পেটকে ঠান্ডা করতে হবে পাক্কা ২প্লেট মেরে! আজকের বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার পদের পরীক্ষার পর কয়েকজন জানতে চেয়েছিলেন-“ভাই, আর্টস ফ্যাকাল্টি হতাশ করলো! কী ভাবে হতাশা কাটানো যায়? আর তো পড়তে ভাল্লাগে না!

ডেট এক্সপায়ারড মাল আমি। অত জঠিল হিসাব বুঝিনা। শুধু এটুকু বুঝি পদার্থ, রসায়ন, জীব, আজীব যে কোন বিষয়ের উপর তারা প্রশ্ন করে আপনাকে হতাশ করে আপনার সরল হিসাবকে জঠিল করাই পরীক্ষা আয়োজকদের কাজ। এমন প্রশ্ন হলে হতাশ শুধু আপনি না বরং সবাই হবে। এর ভিতরেই এমন প্রশ্নেও অনেকের ভাগ্য খুলে যাবে। কাদের ভাগ্য খুলবে?
-যারা বাংলা সাহিত্যে অভারঅল ভালো বেসিক মজুদ করেছে।

-যারা নিয়মিত পেপার পত্রিকা পড়ে সাধারণ, সমসাময়িক বিষয়গুলোকে ভালোবেসে আত্মস্থ করতে পেরেছে।

-যারা ইংরেজি পত্রিকার লিড নিউজ, সমম্পাদকীয় পাতা এফোঁড়-ওফোঁড় করতে পারছে।

-ইংরেজিতে অনুবাদসহ নিজের মত করে শুদ্ধ ভাবে যেকোন ইস্যুকে একটা প্লাটফর্মে দাড় করানোর মত মোটামুটি দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছে।

-যারা দেশের সাম্প্রতিক অর্জনগুলোকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখলেও সেগুলো সম্পর্কে আরো বেশি জেনে নিয়েছে।

-যারা জব এক্সামের স্ব স্ব পদের/প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত কার্যক্রমগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে পেরেছে।

-যারা বিশ্বরাজনীতির বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয়/ইস্যুগুলোকে নিজের মত করে মজুদ করে নিয়মিত দেখে যাওয়ার মত সময় বের করতে পেরেছে।

শুধু গণিতের উপরে ভর করে বাকীগুলোকে ট্যাকল দেওয়া যায় না যদি আর্টস ফ্যাকাল্টি, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, AUST নিয়মিত এমনভাবে পাল্টি দেয়। কারণ কোন একটি বিষয়ে এক্সাম আয়োজক পাল্টি দিলে সেটি একজনের জন্য নয় বরং অধিকাংশজনের জন্যেই প্রতিকূলে থাকে। সুতরাং প্রস্তুতি নিন সকল বিষয়ে উপর গড় প্রস্তুতি। একটি অংশ পাল্টি দিলেও বাকীগুলোতে ঠেকিয়ে দিবে। কপালে থাকলে এতেই হবে……

শুভকামনা সকলের জন্য। হাসি ফুটুক প্রিয় বেকার সকল ভাই-বোনদের মুখে, পরিবারের সকল সদস্যদের মুখে…..

ধন্যবাদ!

Bank Written

আজকে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার ম্যাথ

আজকে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার ম্যাথ ( নিজের মতো করার চেষ্টা )
a)A piece of stone fell from a balloon when it was flying in the upward direction with a velocity 20m/s . what will be the height of the balloon when the stone hit the ground in 10 seconds
Solution:
a) we know h=ut+1/2gt^2 (for falling body)
here for the stone the velocity “U ” will e negetive that is -20
time t=10 sec , gravitational acceleration g will be 9.8 so the height of the baloon from the ground when the stone fell = -20*10+1/2*9.8*10*10= 290 m
and during this 10 sec time balloon will move upward further h=ut= 20*10 = 200 m so when the stone fell in the ground the ballon will be at h= 290+200 =490 m from the ground
so answer=490m
b)Find the maximum value of z=6x+2y suject to the condition x>=0, y>=0,: x+y=5;x<=2, y<=4
Solution:
For 6X+2y be maximum the value of X must be maximum from the given condition the maximum value of X can be 2 and then the value of y will be =3 as x+y=5
and then the maximum value of z will be = 6*2+2*3 =12+6 =18
if we put any value of x less than 2 than the value of z will be less than 18 as we can put x=1.9 and y= 3.1 or x=1.5,y = 3.5 as we get from putting those z= 17.6 or z= 16
so maximum value of z must be 18 (ans)
c) The sum of the digits of a two-digit number is subtracted from the number , how many such two digit numbers can be formed so that the digit in the unit place of the resulting number is 6.
solution:
let the number be 10X+Y ,( Y is in unit place and X is in the tenth place )
so the sum of the digits will be X+Y
if the sum of the digits subtracted from the number than the result will be
10X+Y-(X+Y)= 9X
so the number resulting will be always the product of 9 so if its need to have 6 in unit place so the value of X must be 4 as e result it will be 9*4=36 here 6 in the unit place so all the two digit number which has 4 in tenth place will be the number so total such number will be 10 ( 40,41,42,43,44,45,46,47,48,49)
d) how many ways athere to divide 50 peoples into 3 groups so that each group contains member qual to a prime number.
Solution :
prime numbers less than 50 are ( 2,3,5,7,11,13,17,19,23,29,31,37,41,43,47)
as the sum of three group will be 50 and it is an even number so in those three group a number must be even becasue even +odd+odd= even
so all such combination must have 2 so it can be formed as
( 2,43,5); (2,41,7);(2,37,11);(2,31,17);(2,29,19)
each set can be re arranged in 3! = 3*2=6 ways
so total groups will be = 5*6 = 30
Total ways = 30 ( Ans)

Solved by Nazmul Hasan
e) A semicircular metal of diameter 28 cm is bent into an open conical cup. find the depth and capacity of the cup
Given that,
diameter = 28 cm
Radius, r = 14 cm
Circumference of semi circle
= πr
= (22/7) x 14 = 44 cm
This becomes circumference of base of cone
2πR = 44
R = 44 x (7/44)
R = 7 cm
The radius of semi circular sheet
= slant height of conical cup
That is l = 7 cm
We know that,
r^2 + h^2 = l^2
Or,14^2 + h^2 = 72
Or,196 – 49 = h^2
Or,h^2 = 147
Therefore, h = 7√3 cm
That is depth of the conical cup is 7√3 cm
Capacity of cup = (1/3) πr^2h
= (1/3) x (22/7) x 7^2 x 7√3
= 622.37 cm^3
Solved by – Yousuf Ali

Bank Written · BSC Written

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি : বাংলাদেশ ভবন

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
টীকা লিখুন :বাংলাদেশ ভবন
পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীতে যে বাংলাদেশ ভবন তৈরি
হয়েছে বাংলাদেশের সরকারের অর্থানুকূল্যে, ২৫মে ,২০১৮ শুক্রবার সেটিরই উদ্বোধন
করেন ভারত আর বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী – নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনা।
অত্যাধুনিক দোতলা এই ভবনটিতে আছে একটি মিলনায়তন, জাদুঘর এবং গ্রন্থাগার।
প্রায় ৪৬,০০০ বর্গফুট জায়গার এই ভবনে উদ্বোধনের আগের রাত পর্যন্তও কাজে ব্যস্ত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আসা শিল্পী আর কর্মীরা। জাদুঘরটি চালু হচ্ছে প্রায় ৪০০০ বর্গফুট এলাকা নিয়ে। পরে এটিকে আরও বড় করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর গ্রন্থাগারের জন্য বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে প্রায় ৩৫০০ বই।এর মধ্যে অনেক বইই রবীন্দ্রচর্চা এবং রবীন্দ্র গবেষণা ভিত্তিক, যা ভারতে সহজলভ্য নয়। গ্রন্থাগার আর জাদুঘরটিতে রয়েছে অনেকগুলি ইন্টার অ্যাকটিভ, টাচ স্ক্রিন কিয়স্ক। রয়েছে রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা শোনার জন্য অডিও কিয়স্ক। ছাপানো বই ছাড়াও ডিজিটাল বইও পড়তে পারবেন পাঠকরা। জাদুঘরেই দেখা হয়েছিল ভবনটির কিউরেটর তারিক সুজাত জানান জাদুঘরটিকে মূলত ৪টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। শুরু হয়েছে উয়ারি বটেশ্বরে প্রাপ্ত ২৫০০ হাজার বছর পুরনো সভ্যতার নিদর্শন দিয়ে। শেষ হয়েছে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ দিয়ে। মাঝের অনেকটা সময় জুড়ে এসেছে রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গ। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন যেমন রয়েছে, তেমনই আছে অতি দুর্লভ কিছু ছবি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত নানা প্রত্ন নিদর্শনের অনুকৃতি। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলির মধ্যে উয়ারি বটেশ্বরে প্রাপ্ত প্রত্ন নিদর্শন যেমন আছে, তেমনই আছে ৬ষ্ঠ-৭ম শতকের পোড়ামাটির কাজ, ১৬শ শতকের নক্সাখচিত ইট প্রভৃতি। রয়েছে পাহাড়পুর, মহাস্থানগড়ের নানা নিদর্শন, দেবদেবীদের মূর্তি। কোনটা পোড়ামাটির, কোনটি ধাতব। মাঝখানে সুলতানি এবং ব্রিটিশ শাসনামলও এসেছে জাদুঘরটিতে রাখা নানা প্যানেলে। রয়েছে ঢাকার জাতীয় জাদুঘর থেকে আনা বেশ
কিছু মুদ্রা। ” এই পর্যায়টি শেষ হয়েছে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময়ে। তারপরের বিভাগ শুরু হয়েছে
৫২-র ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক যে বিভাগ, তার আগে ভাষা
আন্দোলনের প্রসঙ্গটি এ কারণে রাখা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সূচনা তো সেই ৫২-তেই,” বলছিলেন তারিক সুজাত।

BANK Tips

Bangladesh Bank AD (General) 40 Days Preparation Plan

#BB_AD_PREPARATION

#Plan_For_Forty_Days

এই মূহুর্ত থেকে ৪০ দিনের প্লান

———
অনান্য এক্সামের মতোই এই পরিক্ষার তিনটা ধাপ। প্রিলিমিনারি, রিটেন, ভাইভা। এখানে আজকে শুধু প্রিলিমিনারির সিলেবাস দেখে নিই।
মোট ১০০ নাম্বারের এক্সাম হয়।
গণিত ও মানসিক দক্ষতা —-৩০
ইংরেজি ————————–২৫
বাংলা —————————–২০
সাধারণ জ্ঞান—————–১৫
কম্পিউটার ———————–১০

এই হচ্ছে মোট ১০০ মার্ক। ১০০ টা MCQ কোয়েশ্চন থাকবে। প্রতিটা শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ মার্ক পাবেন আর ভুল উত্তরের জন্য .২৫ করে নেগেটিভ মার্কিং করা হবে।

বিস্তারিত সিলেবাস :-
গণিত ও মানসিক দক্ষতা :- বিগত বছরের প্রশ্ন গুলো এনালাইসিস করে দেখা গেলো নিচের টপিকস গুলো থেকে প্রিলিমিনারি তে সাধারণত প্রশ্ন আসে।

Mathematics:-

1. Percentage, Ratio & Fraction
.
2. Partnership, Profit & Loss, Interest
.
3. Time- Work- Distance, Age, Speed ( Car, Train, Boat & Streams)
.
4. Algebra, Number System, Set and Venn Diagram
.
5. Pipe – Cistern, Average, Geometry

Analytical Ability :-
1. Critical Reasoning
2. Data Sufficiency
3. Analytical Puzzle
4. IQ ( Series, Day finding, Letter – Arranging)

——————–
ইংরেজি :- ইংরেজি অংশে মূলত দুই ধরণের প্রশ্ন হয়। যথা :-
1. Vocabulary Based
2. Grammar Based

আবার Vocabulary তে দুই ধরণের প্রশ্ন হয় যথা :-
— General Vocabulary
— Contextual Vocabulary
যে ধরণের প্রশ্নই হোক না কেন, মূলত নিচের কমন টাইপ কোয়েশ্চন গুলো হয়।
Vocabulary Based Topics :-

1. Synonym & Antonym, One word Substitution, Replacing underlined word .
.
2. Analogy, Odd man out, Spelling, Sentence Completion

3. Group verb, Appropriate preposition, Idioms & Phrase.

Grammar Based Topics:-
1. Error Finding
.
2. Sentence Correction
.
3. Correct Sentence Choice
.
4. Rearrange Sentence Parts
.
5. Grammar Based Fill in the blanks

—————–

বাংলা :-

১. সমার্থক শব্দ, বীপরিত শব্দ, এক কথায় প্রকাশ
.
২. শুদ্ধ ও শুদ্ধ বানান, বাগধারা, প্রবাদ প্রবচন
.
৩. বাংলার শব্দ ভান্ডার, ব্যাকরণ, আধুনিক যুগের কয়েকজন সাহিত্যিকের জীবনী ও সাহিত্যকর্ম।

বিসিএস এর মতো সাহিত্যের অংশটুকু এখানে ততটুকু গুরুত্বপূর্ণ নয় । এক থেকে দুইটা প্রশ্ন আসে। যাদের বিসিএস এর প্রিপারেশন ভালো ছিলো বা আছে তারা এমনিতেই পারবেন । আর বাকী ৯০% প্রশ্ন আসে সাহিত্যবাদে অনান্য টপিকস গুলো থেকে।

————————

সাধারণ জ্ঞান :-
এখানে দুই ধরনের প্রশ্ন হয়। এক ধরণের প্রশ্ন হয় সাম্প্রতিক বিষয় গুলো নিয়ে আরেক ধরণের প্রশ্ন হয় ফিক্সড বিষয় গুলোকে নিয়ে। এখানে নির্দিষ্ট করে সিলেবাসটা বলা মুশকিল। তারপরেও বিগর বছরের প্রশ্ন গুলো এনালাইসিস করলে দেখা যায় নিচের বিষয় গুল প্রাধান্য পাচ্ছে:-
.
১. সাম্প্রতিক:- সমসাময়িক রাজনীতি, নারীনীতি, সমাজনীতি, পরিবেশনীতি, নির্বাচন, খেলাধুলা, পুরস্কার।
.
২. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা বিষয়ক তথ্য।
.
৩. বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি বিষয়ক তথ্য — জিডিপি, মাথাপিছু আয়, মুদ্রা, জাতীয় ব্যাংকের নাম।
.
৪ জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক সহ এদের সমস্ত অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়ীক চুক্তি গুলো।
.
৫. বাংলাদেশ ( ১৯৪৭ – ১৯৭১)

—–

কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি :-
1. Computer & Internet Basic :-
Generation Of computers, Types of Computer, Computer Memory, MS word, MS Excel, CPU.
.
2. Bit & Byte, Operating System, Various File extension — Doc, dcox, PDF, Mpg etc.
.
3. Keyboard Shortcut, Computer Abbreviation, Different Networking System — LAN, MAN, WAN etc.
.
4. Programming Language, Software, Data Security, Antivirus, Social networking

———

করণীয় :-
৪০ দিনের প্লান

প্রথম ৫ দিন :-

প্রতিদিন দুইটা করে বিগত বছরের AD এক্সামের প্রশ্ন গুলো শুরু ভালো করে সমাধান করুন । তাহলে পাঁচ দিনে মোট ১০ টা প্রশ্ন শেষ হবে। এতে আপনার প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে পরিপূর্ণ একটা ধারণা পাবেন, পাশাপাশি আপনার প্রশ্নের ভীতিটা অনেকটা কমে যাবে। আরিফুর রহমান Bangladesh Bank Recruitment Guide বা Professor’s Bangladesh Recruitment test বই দুইটা তে খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যাসহ বিগত প্রায় ১৫ বছরের প্রশ্ন সমাধান করে দেয়া আছে। সেখান থেকে ধৈর্য সহকারে প্রতিদিন দুই করে প্রশ্ন শেষ করবেন, নিজের সাথে নিজে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোন।

মাঝের ২০ দিন :-

শুধুই পড়বেন গণিত আর ইংরেজী। সকালে পড়ুন গণিত আর রাতে পড়ুন ইংরেজী।
সকালে ৪ ঘন্টা গণিত
রাতে ৪ ঘন্টা ইংরেজী

গনিত:- গণিতের জন্য আপনি আরিফুর রহমানের ব্যাংক ম্যাথ বা সাইফুর রহমান এর সাইফুর্স ম্যাথ বই থেকে, উপরে প্রদত্ত সিলেবাসের সিরিয়াল অনু্যায়ী ম্যাথ পড়া শুরু করুন। উপরে ম্যাথের যে ৫ টা গ্রুপ আছে তার প্রত্যেক্টার জন্য দুই দিন করে বরাদ্ধ করুন। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত ম্যাথ করুন। মাঝে মাঝে ৩০ মিনিটের দুইটা বিরতি দিন। সিরিয়াল অনুযায়ী করবেন। একদিনেও মিস দেবেন না। ধীরে সুস্থে এগিয়ে যান। ধারাবাহিক ভাবে এই ২০ দিন প্র‍্যাক্টিস করুন। পরিবর্তন নিজেই দেখুন।

ইংরেজী :-
রাতে ৪ ঘন্টার একটা রুটিন করুন। প্রথম দুই ঘন্টা পড়বেন Vocabulary Based অংশটুকু আর পরের দুই ঘন্টা পড়বেন Grammar Based অংশটুকু।

অপশন :- ১ ( যারা খুব পরিশ্রমী)
Vocabulary Based পার্টটার জন্য প্রথমে আরিফুর রহমানের Bank Vocabulary বইটা থেকে ২০০১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সব গুলো ব্যাংকে আগত ভোকাবুলারি মুখস্থ করে ফেলুন। দেখবেন হয়তোবা অনেক গুলোই আপনি পারেন। এরপর Objective English Pearson এর বইটা থেকে Section Three and Section four অনুশীলনী সহ পড়ে নিন। ভাবতে পারেন এই গুলো শেষ করবো কিভাবে এই কয়েক দিনে?? আমি বলবো এই চিন্তা না করে শুরু করে দেখুন না, কি হয় কারণ অনেক গুলোই আপনার আগের পড়া আছেন। Grammar Based অংশের জন্য S M Zakir Hussain স্যারের Analytical English Grammar বইটা থেকে ” Basic Analytical Skill development “, “The Architecture of English Sentence ” এবং “English for Competitive Exams ” এই তিনটা অধ্যায় পড়ে নিতে পারেন। শুধু রিডিং পড়বেন মুখস্থ করার দরকার নাই। যদি আপনি পরিশ্রমী হন তাহলে এই গুলো সম্ভব।

অপশন :- ২
আর যদি মনে করেন যে না আমি বই টই ঘাটাঘাটি করতে পারবো না, আরো শর্ট দরকার তাহলে, আমি আগে একদমেই পড়ি নাই, তাহলে আমি বলবো আপনি একটু ঝুকিতে আছেন। তারপরেও আপনাকে হতাশ করবো না। আমি বলবো JOB’s Publication এর Bank English বইটা কিনেন। বইটাতে উপরে উল্লিখিত সব গুলো বইয়ের একটু একটু নির্যাস আছে। পড়তে পারেন, খারাপ হবে না।

তাহলে এই ২০ দিন আপনি ম্যাথ আর ইংরেজি ছাড়া অন্য সব ভুলে যান।

এর পরের ৫ দিন :

সাইফুর্স এনালিটিক্যাল পাজল বা S M Zakir Hussain sir এর A systematic approach to critical reasoning and analytical ability বইটা দেখুন

এরপরের ৫ দিন:-
সকালে —— বাংলা
দুপুরে ———কম্পিউটার,
রাতে ———- সাধারণ জ্ঞান

যেহেতু ব্যাকরণ অংশে বেশী মার্ক থাকে তাই এটা জোড়দিন বেশী। নবম-দশম শ্রেনীর বই থেকে উপরে প্রদত্ত সিলেবাসে উল্লিখিত ক্রম অনুযায়ী রিভিশন শুরু করুন। হ্যা রিভিশন বললাম কারণ এই গুলো আপনার ইতিমধ্যে শেষ। আর আধুনিক যুগের কয়েকজন নামকরা সাহিত্যিক জীবনি, সাহিত্যকর্ম পড়ে নিন যেকোন একটা বই থেকে।

কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তির জন্য জ্ঞানদ্বীপ পাবলিকেশনের ছোট একটা বই আছে ” ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট – কম্পিউটার তথ্যপ্রযুক্তি” বইটার দাম খুব বেশী না মনে হয়। ৪০ টাকার মতো হবে। কম সময়ের জন্য খুব কার্যকরী হবে। এছাড়া আপনার যেখান থেকে ভালো লাগে সেখান থেকে উপরে প্রদত্ত সিলেবাসে উল্লিখিত ক্রম অনুযায়ী পড়ে নিয়েন।

সাধারণ জ্ঞান :- সাম্প্রতিক এর জন্য বিগত ৫ মাসের যেকোন মাসিক ম্যাগাজিন যেমন কারেন্ট এফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, বা তথ্য কণিকা সংগ্রহ করুন। আর যারা এইগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন না তাদের জন্য বিকল্প অপশন হচ্ছে “Recent View (নাইম হোসেন) ” নামক একটা বই আছে সেটা পড়লেও চলবে।

.
সবার শেষের ৫ দিন:
Indiabix ওয়েব সাইট থেকে প্রতিদিন চারটা করে মডেল টেস্ট দেন নিজে নিজে। ঐখান থেকে অনেক প্রশ্ন হবুহু কমন পড়ে যায়। জানেন তো আমাদের কপি করার বড্ড প্রবণতা আছে।

এখানে বিভিন্ন লেখকের অনেক বইয়ের কথা লিখেছি। পড়ার পর নিশ্চয় বুঝতে পারতেছেন আপনার জন্য কোনটা দরকার, আর কোনটা দরকার না । আপনার জন্য যেটা দরকার সেটাই কিনুন। কিনে পড়াশুনা শুরু করুন। আর একটা কথা, বই কোথায় পাওয়া, বইয়ের দাম কত?? উত্তর হচ্ছে বই পাওয়া যাবে লাইব্রেরীতে, বইয়ের দাম বইয়ের লেখক জানেন আর বই বিক্রেতা আমি জানি না। আশা করি কমেন্ট বক্সে বা ইনবক্সে এই প্রশ্ন গুলো করবেন না। কারণ আমিতো কেবল একজন শুভাকাঙ্ক্ষী। আমি বই বিক্রেতা না।

বর্জনীয় :-

এন্টিবায়োটিক :-
১. প্রিপারেশন নিয়ে বেশী হা-হুতাশ করবেন না। স্বাভাবিকভাবে প্রস্তুতি চালিয়ে যান। বাড়াবাড়িও করবেন না, ছাড়াছাড়িও করবেন না।
.
৩. এমনো হতে পারে যখন পড়তে বসবেন, এক দিকে পড়বেন আরেক দিকে ভুলবেন। কোন সমস্যা নাই। তারপরেও পড়ুন। এখন ভুলে যান সময় মতো পরিক্ষার হলে প্রশ্ন দেখা মাত্রই মনে হয়ে যাবে । মনে রাখবেন আজ থেকে এক সপ্তাহ আগে আপনি কি খাইছেন তা কিন্তু ভুলে গেছেন। কিন্তু তার নির্যাস আর শক্তিটুকু আপনার শরীরে এখনো রয়ে গেছে। যা আপনি প্রয়োজনের সময় কাজে লাগাইতেছেন। পড়ার বিষয়টাও অনেকটা এই রকম।
ভুলে যান, সময় মতো মনে হবে।

২. হাতে যেহেতু সময় খুব কম তাই পরিক্ষার আগ পর্যন্ত সময়টা খুব সদ্ব্যবহার করুন। অনর্থক কাজ এবং অনর্থক কথা দুইটাই বাদ। সবার কাছে সাজেশন চেয়ে বেড়াবেন না। এই সময়টুকু নিজে নিজেকে সাজেশন দেন। ভার্চুয়াল জগতে আধাঘন্টার বেশী সময় দিয়েন না। প্রত্যেকেই নিজের ধর্মীয় মূল্যবোধের দিকে যত্নবান হোন। যার মুসলিম আছেন তারা নিজের আমলের দিকে বেশী মনযোগ দেন। বেশী করে নফল পড়ুন। আল্লাহর কাছে চান। রমজানের সময় চলছে দোয়া কবুল হবে।

সর্বশেষে আমার সকল ভবিষ্যৎ সহকর্মীদের জন্য শুভকামনা রইলো।আশা করি দেখা হবে।

————-লিখেছেন————
Paradise’s Love
(ছদ্মনাম)
সহকারী পরিচালক
বাংলাদেশ ব্যাংক

General Knowledge

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর ইস্যুতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১০টি সাম্প্রতিক প্রশ্ন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর ইস্যুতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১০টি #সাম্প্রতিক_প্রশ্ন
১) নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কোথায় অবস্থিত?
Answer : কলকাতা, ভারত।

২) বরীন্দ্রনাথের স্মুতিবিজড়িত শান্তিনিকেতন পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় অবস্থিত?
Answer : পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায়।

৩) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এর নাম কি?
Answer : উপাচার্য অধ্যাপক সবুজ কলি সেন।

৪) কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের কোথায় অবস্থিত?
Answer : ভারতের আসানসোলে।

৫) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের কোন বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি-লিট) ডিগ্রি দিচ্ছে?
Answer : কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়।

৬) ২৫ মে শান্তিনিকেতনে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন কে কে?
Answer : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

৭) ভারতের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্চায হিসেবে কে দায়িত্ব পালন করেন?
Answer : প্রধানমন্ত্রী। নোট: বাংলাদেশে এ দায়িত্ব পালন করে রাষ্ট্রপতি।

৮) বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুর‌্যাল স্থাপন করা হয়েছে কোন ভবনের প্রবেশদ্বারে?
Answer : বাংলাদেশ ভবনের প্রবেশদ্বারে।

৯) কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনের দূরত্ব কত কি.মি.
Answer: ১৮০ কি.মি

১০) প্রকৃতি, আধ্যাত্মিকতা এবং মানবিক মূল্যবোধ সমন্বিত শিক্ষা প্রদানের জন্য একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “শান্তিনিকেতন” কতসালে নির্মাণ করেন?
Answer : ১৯২১ সালে।

[Like, Comments and Share; Plz কার্টেসী ব্যতীত কপি করবেন]
Shariful Islam Alal
#শরিফুল_ইসলাম_আলাল
সমাজকল্যাণ, ঢাবি

Bank Written · BSC Written

বজ্রপাত ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত

বজ্রপাত ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত:
দুর্যোগপ্রবণ বাংলার মানুষের জন্য একটি নতুন আতঙ্কের নাম বজ্রপাত। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যুহার বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার এরই মধ্যে বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। বজ্রপাত কী? বজ্রপাত কখন হয়? কেন হয়? বজ্রপাত থেকে নিজেকে রক্ষার উপায় কী? এসব বিষয় এ দেশের খুব কমসংখ্যক মানুষেরই জানা। যেহেতু বজ্রপাতের কারণে মৃত্যুহার বেড়েই চলছে, তাই এ বিষয়ে দেশের প্রতিটি মানুষকে সচেতন করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। বজ্রপাত আসলে এক প্রকার শক্তি, যে শক্তিকে ধরে মানবকল্যাণে ব্যবহার করার মতো প্রযুক্তি পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। আর এ শক্তি মূলত সৃষ্টি হয় উত্তপ্ত ও আর্দ্র আবহাওয়ায়। উত্তপ্ত বায়ু যখন দ্রুতগতিতে ঠাণ্ডা হতে থাকে, তখন বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়। বাতাসের প্রভাবে এ বজ্রমেঘের মধ্যে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ সময় বাতাসের জলীয়বাষ্প বৃষ্টিকণা, শিশিরবিন্দু, হিমকণা, তুষারকণাসহ বিভিন্ন আকার ধারণ করে। বৃষ্টি ও তুষারকণার পারস্পরিক সংঘর্ষের ফলে তুষারের ইলেকট্রন চার্জ ধাক্কা খাওয়ার ফলে স্থির বৈদ্যুতিক চার্জের সৃষ্টি হয়। আর এ চার্জ সঞ্চিত হয়ে তীব্র শব্দে বজ্রপাত সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে কালবৈশাখীর (বৈশাখ থেকে আষাঢ়) সময় বজ্রপাতের তীব্রতা বেশি থাকে। এ সময় গ্রীষ্মের দাবদাহের কারণে দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জলীয়বাষ্পপূর্ণ গরম বাতাস উপরে উঠতে থাকে। এভাবে যত বেশি জলীয়বাষ্প উপরে উঠতে থাকে তত বেশি উল্লম্ব মেঘের সৃষ্টি হতে থাকে। এভাবে আপ ও ডাউন ড্রাফ চলতে চলতে বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়। এ কারণে বাতাসের তাপমাত্রা বহুগুণ বেড়ে যায়। এ সময় বাংলাদেশে বিভিন্ন দিক থেকে মেঘের গর্জন হয়ে থাকে। তবে পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর আকাশে মেঘের গর্জন শুরু হলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া আবশ্যক। কেননা এসব দিকের মেঘ থেকে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ অবস্থায় বজ্রপাতের সংস্পর্শে যেকোনো বিদ্যুৎ পরিবাহী প্রাণের মৃত্যু অবধারিত। বিগত দশকগুলোয় বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা খুব বেশি না বাড়লেও ঋতুভিত্তিক তাপমাত্রার ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।
২০১৬ সালের ১৮ জুন ঢাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশে প্রথম ‘বজ্রপাত: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শিরোনামে যে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল, ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। এ কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বজ্রপাত বিষয়ে যেসব পরিকল্পনা ও সচেতনতার কথা বলেছেন, সেগুলো আজ পর্যন্ত গ্রামগঞ্জে প্রচার করার ব্যবস্থা করা হয়নি। এক হিসাবে দেখা যায়, ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২৩৫ জন মানুষ মারা যায় বজ্রপাতের কারণে। উন্নত বিশ্বে বজ্রপাতে মৃত্যুহার কোটিতে চারজনের কম কিন্তু বাংলাদেশে এ সংখ্যা ৯। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেও এ সংখ্যা কোটিতে মাত্র ১। প্রতি বছর বজ্রপাতের কারণে বিশ্বে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশে বজ্রশি ওঠানামা করে, যা জীববৈচিত্র্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। জলবায়ুসংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য আমরা গ্লোবাল বডির ওপর নির্ভরশীল কিংবা গ্লোবাল মডেলকে অনুসরণ করি। কিন্তু আমাদের এটা জানা উচিত, তারা কোনো দেশভিত্তিক রিপোর্ট করে না, তারা রিপোর্ট করে অঞ্চলভিত্তিক। বাংলাদেশকে তারা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে গণনা করে। কিন্তু এখানে আমাদের বুঝতে হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আটটি দেশ অন্তর্ভুক্ত, প্রতিটি দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রতিবেদন তৈরি করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৩২টি আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে কতটুকু তথ্য-উপাত্ত নেয়া সম্ভব তা অজানা। যদি বাংলাদেশের জলবায়ু নিয়ে ভারতের রিপোর্ট সঠিক হয়, তাহলে কেন ভারতের প্রতিবেদন পাশে রেখে বাংলাদেশের জলবায়ু সংক্রান্ত গবেষণা করা হচ্ছে না?
বাংলাদেশে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্বন নির্গমন, গাছপালা নিধন, অপরিকল্পিত শিল্পায়নসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকগুলো নিয়ে বড় স্কেলে গবেষণার সংখ্যা নেই বললেই চলে। এমনকি এসব গবেষণার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা খুবই অপ্রতুল। বজ্রপাত বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো, বাতাসের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। আর এ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কার্বন ডাই-অক্সাইড; বৃক্ষনিধন, যত্রতত্র শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা এ কার্বন নির্গমন ত্বরান্বিত করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। জলবায়ুর স্থানীয় বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতার কারণে স্থানবিশেষে এ মাত্রার পার্থক্য হতে পারে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি বছর বিশ্বে ১ শতাংশ হারে বন ধ্বংস করা হচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগের কারণ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ চিত্র আরো করুণ। অধিক জনবহুল এ দেশটিতে যেখানে বনভূমি থাকার কথা ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ, সেখানে বন বিভাগের তথ্যমতে বনভূমি আছে ১৮ শতাংশ। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ ৭ শতাংশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন ৫ শতাংশ কমানোর কথা জানিয়েছে। কিন্তু যেখানে এখনো প্রতি বছর বনভূমি নিধনের হার ২ শতাংশের উপরে, সেখানে সরকার কার্বন নির্গমন কমানোর যে পরিকল্পনা করেছে তা বাধাগ্রস্ত হবে। বর্তমানে বিশ্বের তাপমাত্রা প্রতি দশকে গড়ে শূন্য দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে বাড়ছে, এটি হচ্ছে তাপমাত্রা বৃদ্ধির গ্লোবাল স্কেল। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করলে হয়তো এ বৃদ্ধির হার আরো বেশি হবে। আইপিসিসির (আন্তঃসরকার পরিষদ) জলবায়ু মডেল অনুযায়ী, বিশ শতকে বিশ্বের সমুদ্রপৃষ্ঠ ও বায়ুর তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেড়েছে এবং ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়াবে। বিজ্ঞানীদের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না রাখতে পারলে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। এভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি তথা বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে জলীয়বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বায়ু পানিচক্রের বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে একসময় বজ্রমেঘের সৃষ্টি করে বজ্রপাত ঘটায়, তাই বজ্রপাত ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি একটি অন্যটির সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত।
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য করণীয় বিষয়গুলো ও সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায় থেকেই শুরু হতে হবে। কারণ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষেই বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। আর বজ্রপাতে শহরের তুলনায় গ্রামে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হচ্ছে। শহরে অনেক বিল্ডিংয়ে বজ্রপাত নিরোধক ধাতব দণ্ড বসানো থাকে কিন্তু গ্রামে তা থাকে না। গ্রামে অনেক গাছপালা, ফাঁকা মাঠ ও জলাশয় থাকে, যা বজ্রপাতকে আকর্ষণ করে। বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য আমাদের দেশে ব্যাপক প্রচার ও বিল্ডিংয়ে বজ্রপাত নিরোধক ধাতব দণ্ডের ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হবে। তাই বজ্রপাত থেকে আমাদের সমাজকে নিরাপদ রাখতে ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে হলে কতিপয় নির্দেশনার ব্যাপক প্রচারণা দরকার। জাতীয় বিল্ডিং কোডে বজ্রপাত নিরোধক যে দণ্ড স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তা গ্রামগঞ্জে নতুনভাবে স্থাপনের পাশাপাশি পুরনো সব বিল্ডিংয়ে বজ্রপাত প্রতিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে। বজ্রপাতের সময়সীমা সাধারণ ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়, এ সময় ঘরে অবস্থান করতে হবে। বজ্রপাতের সময় মাঠে কাজ কিংবা বিল্ডিংয়ের ছাদে গোসল করা যাবে না। বজ্রপাতের সময় সেলফোন টাওয়ার, বৈদ্যুতিক লাইন, উঁচু গাছপালা, ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ও টিনের চালা এড়িয়ে চলতে হবে। বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে অবস্থান করলে গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটানো যাবে না। বাড়ি থেকে দূরবর্তী কোনো স্থানে হালচাষ কিংবা ফসল কাটার সময় আকাশে কালো মেঘ জমা শুরু হলেই কৃষকদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে। অতি জরুরি প্রয়োজন হলে রাবারের জুতা ও কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে হবে। বজ্রপাতের সময় বাড়ির আঙিনায় কাজকর্ম ও পুকুরে গোসল করা যাবে না। সর্বোপরি বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেতে, খেলার মাঠে বা খোলা জায়গায় অবস্থান করলে দ্রুত পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে ও কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন। বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতো চিকিৎসা করতে হবে। দুর্যোগকবলিত আমাদের এ বাংলায় দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার মোক্ষম উপায় হচ্ছে সচেতনতামূলক নির্দেশিকাগুলোর ব্যাপক প্রচারণা। কারণ সচেতনতামূলক কাজের মাধ্যমে এরই মধ্যে আমরা উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ মোকাবেলায় সাফল্য অর্জন করেছি।
লেখক: ভলান্টিয়ার, ইয়ুথ ম্যাপারস চ্যাপ্টার, ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং
বণিক বার্তা।
///
প্রশ্ন: বজ্রপাত থেকে রক্ষায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ কী?
উত্তর: ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগের তালিকাভুক্ত করা হয়। এরপর থেকে সরকার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হলো-
** প্রাথমিকভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশে ১০ লাখ তাল গাছ রোপন করা হচ্ছে এবং প্রায় ২৮ লাখ বীজ সংগ্রহ করে তা রোপন করা হচ্ছে।
** ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডকে অনুসরণ করে ব্জ্রপাত নিয়ন্ত্রণে নানা প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রনালয়ের একাধিক কর্মকর্তা এই দুই দেশে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
** রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বাড়ির ছাদে বজ্র নিরাপত্তা টাওয়ার এবং হাওর এলাকায় একতলা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে।
** দ্রুত বধনশীল গাছ সুপারি,বাবলা ইত্যাদি রোপণ করা হয়েছে।
** বজ্রপাতের আগাম সংকেত জানতে আবহাওয়া দপ্তর “লাইটেনিং ডিটেকটিভ সেন্সর ” বসানোর কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা, চট্রগ্রাম, তেঁতুলিয়া, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনার কয়রা ও পটুয়াখালীতে পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হবে এই সেন্সর। একেকটি সেন্সরের সীমা হচ্ছে ২৫০ কি:মিঃ। প্রতিটি সেন্সর থেকে এক হাজার কি:মি: মনিটরিং করা যাবে, যার মাধ্যমে সারা দেশের চিত্র উঠে আসবে।
** “১৩ টি নদীবন্দরে আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারে শক্তিশালীকরণ” প্রকল্পের আওতায় বজ্রপাতের সংকেত ও সংখ্যা নিরুপনের যন্তপাতি কেনা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৮ টি ডিটেকটিভ সেন্সরের যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। এই প্রকল্প সঠিকভাবে চালু হলে ঝড় বৃষ্টির সময় কোন জেলায় বজ্রপাত হতে পারে তা বলতে পারবে আবহাওয়া দপ্তর। এমনকি ১০ থেকে ৩০ মিনিট আগে বজ্রপাতের সংকেত দেওয়া যাবে।

Bank Written · BSC Written

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এবং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব

ব্যাংক লিখিত পরীক্ষার ফোকাস রাইটিং এর জন্য
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এবং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব
১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মহাকাশজয়ের সূচনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ (BS-1) বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ উপগ্রহ। এটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। স্যাটেলাইট-টির উৎক্ষেপণ তারিখ-১২ মে, ২০১৮ , উৎক্ষেপণ রকেট-ফ্যালকন ৯ ফুল থ্রাস্ট, উৎহ্মেপণ স্থান-কেনেডি স্পেস সেন্টার লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯, কন্ট্রাক্টর-স্পেস এক্স, মিশনের সময়কাল-১৫ বছর ধরা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা এই স্যাটেলাইট-টি ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস কর্তৃক নকশা ও তৈরি করা হয়েছে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিমালিকানাধীন মহাকাশযান সংস্থা স্পেস এক্স থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ১২মে , ২০১৮ বাংলাদেশ সময় রাত ২.১৪ মিনিটে । স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ এবং তা কক্ষপথে রাখার জন্য রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনা হয়। মহাকাশে এই কক্ষপথের অবস্থান ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।
১৫ বছর আয়ুষ্কাল বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে গেলে নিজস্ব স্যাটেলাইটের অধিকারী বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসাবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পরিচালনা, সফল ব্যবহার ও বাণিজ্যিক কার্যত্রমের জন্য ইতিমধ্যে সরকারি মালিকানাধীন ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। নতুন এই কোম্পানিতে কারিগরী লোকবল নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে প্রাথমিক এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র দ্বিতীয় গ্রাউন্ড স্টেশনের নির্মাণ কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডার (২৬ কু-ব্যান্ড এবং ১৪ সি-ব্যান্ড) রয়েছে। এরমধ্যে ২০টি দেশে ব্যবহারের জন্য এবং ২০টি ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মূদ্রা আয় সম্ভব। এছাড়া নিজস্ব স্যাটেলাইট থাকায় বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে প#অর্থনৈতিক_গুরুত্ব
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার পর কক্ষপথে গিয়ে কার্যকর হয়েছে কিনা বুঝতে কয়েক সপ্তাহ লাগবে। সব কিছু সফল হলে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম) সেবা, স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার এবং ইন্টারনেট সুবিধাসহ ৪০ টি সেবা দিতে পারবে। দেশের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের কাছে ফ্রিকোয়েন্সি বিক্রির মাধ্যমে বছরে দেশের টাকা দেশেই থাকবে, বিদেশি নির্ভরতা কমবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ট্যারিস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বহাল রাখবে, দেশের দুর্গম দ্বীপ, নদী ও হাওর এবং পাহাড়ি অঞ্চলে স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা চালুও সম্ভব হবে।
টেলিমেডিসিন, ই-লার্নিং, ই-গবেষণা, ভিডিও কনফারেন্স, প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জরুরি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। বর্তমানে দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট সংস্থা বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ খাতে ব্যয় করছে বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট যাত্রা শুরু করলে এই বিপুল অর্থ দেশেই থেকে যাবে। স্যাটেলাইট স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের যেমন নির্ভরতা কমবে অন্য দেশের ওপর, তেমনি দেশের অভ্যন্তরীণ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে।রনির্ভরশীলতার অবসান হবে।

BANK Tips · BCS Preliminary Tips

Preparation for Bangladesh Bank AD Exam

Preparation for Bangladesh Bank AD Exam.

#BBADPrep_Post1

One word substitution and
Transformation of Word form

————————-

1. One who loves wisdom — Philosopher.
.
2. One who is all powerful — Omnipotent
.
3. Almighty One who is all knowing — Omniscient.
.
4. One who is present all over — Omnipresent.
.
5. One who eats all kinds of food — Omnivorous.
.
6. A book containing all the published work of an author —Omnibus.
.
7. Study of religion — Theology.
.
8. One who believes in God — Theist.
.
9. One who believes in one God —Monotheist.
.
10. One who believes in many Gods — Polytheist.
.
11. One who believes the presence of God in everything in the universe – Pantheist.
.
12. Practicing only one marriage (having only one wife) — Monogamy.
.
13. Practicing two marriages — Bigamy.
.
14. Practicing several marriages (having many wives) — Polygamy.
.
15. One who hates marriage — Misogamy.
.
16. Having several husbands — Polyandry.
.
17. One who hates men — Misandrist.
.
18. People who have both male and female sexual organs — Gynandries.

19. People having both male and female characteristics — Androgynous.
.
20. The study of human development — Anthropology.
.
21. One who hates women — Misogynist.
.
22. One who hates marriage — Misogamist.
.
23. One who loves his fatherland (country) — Patriot.
.
24. One who loves mankind — Philanthropist.
.
25. One who hates humans — Misanthrope.
.
26• One who hates men — Misandrist.
.
27• An inheritance from father — Patrimony.
.
28. The state of being father — Paternity.
.
29. The killing of a father — Patricide.
.
30. A system ruled by father/men — Patriarchy.
.
31. The rule or control of mother — Matriarchy.
.
32. The killing of a whole race — Genocide.
.
33. The killing of a new born child — Infanticide.
.
34. The killing of a king — Regicide.
.
36. The killing of a human being — Homicide.
.
37. The killing of oneself — Suicide.
.
38. The killing of a mother — Matricide.
.
39. The school or college one attends — Alma Mater.
.
40. The killing of one’s own brother — Fratricide.
.
41. The killing of one’s sister — Sororicide.
.
42. The killing of one’s wife — Uxoricide.
.
43. The killing of one’s husband — Mariticide.
.
44. The killing of parents — Parricide.
.
45. To walk aimlessly — Amble.
.
46. A baby carriage — Perambulator (Pram).
.
47. Carriage for sick people — Ambulance.
.
48. One who walks in sleep — Somnambulist.
.
49. One who walks at night — Noctambulist.
.
50. One who walks on ropes — Funambulist.
.
51. Living on flesh — Carnivorous.
.
52. Living on grass — Herbivorous.
.
53. Study of earth and rocks — Geology.
.
54. Study of living things — Biology.
.
56. Study of celestial bodies —Astronomy.
.
57. Study of the influence of planets and stars — Astrology.
.
58. Scientific study of bodily diseases — Pathology.
.
59. Study of languages — Philology.
.
60. Study of bees — Apology.
.
61. Study of heart/heart diseases — Cardiology.
.
62. Study of dogs — Cynology
.
63. Study of trees — Dendrology.
.
64. Study of religion — Theology.
.
65. Study of heredity — Genetics.
.
66. Study of coins — Numismatics.
.
67. Study of birds — Ornithology.
.
68. Study of human development — Anthropology.
.
69. Study of science of insects — Entomology.
.
70.Study of problems of old age — Gerontology.
.
71.Study of relation between organism and environment — Ecology.
.

72. Study of flying aeroplanes — Aviation.
.
73. Study of skin/skin diseases — Dermatology.
.
74. Study of wine/wine making — Enology/Oenology.
.
75. Study of cats — Felinology.
.
76. Study of medicine for women — Gynecology/ Gynaecology.
.
77. Study of arthropod and reptiles — Hepatology.
.
78. Study of horses — Hippology.
.
79. Study of water — Hydrology.
.
80. Study of weather — Meteorology.
.
81. Study of kidneys and their diseases — Nephrology.
.
82. Study of nerves — Neurology.
.
83. Study of cancer — Oncology.
.
84. Study of eggs — Oology.
.
85. Study of eyes — Ophthalmology.
.
86. Study of mountains and their mapping — Orology
.
87. Study of bones — Osteology.
.
88. Study of rocks — Petrology.
.
89. Study of earthquakes — Seismology.
.
90. Study of snakes — Serpentology.
.
91. Study of mouth and its diseases — Stomatology.
.
92.Study of poisons (w) — Toxicology.
.
93. Study of flags – Vexillology.
.
94. Study of medicine for children and their diseases —Paediatrics/Pediatrics.
.
95. Study of broken bones — Orthopaedics.
.
96. Study of hand writing — Graphology.
.
97. Art of good handwriting — Calligraphy.
.
98. A written message from far off place — Telegraph.
.
99. An expert in writing by hand — Chirographer.
.
100. A person who write dictionaries — Lexicographer.
.
101. Written by light — Photograph.
.
102. An expert in writing (drawing) maps — Cartographer
.
103. Writing of one’s life story —Biography.
.
104. Writing of one’s won life story — Autobiography.
.
105. Process of printing from a plate — Lithography.
.
106. Self-rule or control — Autonomy.
.
107. A self moving vehicle — Automobile.

108. A machine that functions by itself — Automatic.
.
109. A signature of oneself — Autograph.
.
110. One with unlimited power — Autocrat.
.
111. Love for mankind — Philanthropy.
.
112. One who loves books as collection — Bibliophile.
.
113. One who loves women — Philogyny.
.
114. One who loves men — Androphile.
.
115. One who loves mankind — Philanthropic

—————
Word———> Noun form.
Advise——-> Advice.
Break———> Breakage/Breach
Waste———>Wastage.
Do————–> Deed/Doer.
Poor———–> Poverty
Brief————> Brevity.
Stupid———->Stupidity
Vary————->Variation/Variety.
Beautiful——> Beauty.
Fragile———-> Frailty.
Deny————>Denial.
Transcend—->Transcendence.
Important—->Importance.
Assure——–>Assurance.
Master——–>Mastery/Master.
Defer———–>Deferment.
Compel——->Compulsion
See————-> Sight.
Fly————–>Flight.
Hate————>Hatred.
Know———–> Knowledge.
Repeat———>Repetition.
Grand———-> Grandeur
————————————
Noun>>>>>>>>>>>verb

Song>>>>>>>>>>>>sing
knowledge>>>>>>>>know
English>>>>>>>>>>anglicize
Class>>>>>>>>>>>>classify
Home>>>>>>>>>>>>>domesticate
Democracy>>>>>>>democratize
Head>>>>>>>>>>>>>>>behead
Breach>>>>>>>>>>>>>break
Page>>>>>>>>>>>>>>Paginate
Gold>>>>>>>>>>>>>>Gild
Number>>>>>>>>>>>>number/ enumerate
Earth >>>>>>>>>>>> Unearth
Threat>>>>>>>>>>>Threaten
Strength>>>>>>>> Strengthen
Height>>>>>>>>>>> Heighten
Fright>>>>>>>>>>>>> Frighten
House>>>>>>>>>>>> House
Man>>>>>>>>>>>>>Man
Water>>>>>>>>>>>Water
Pen >>>>>>>>>>> Pen
Lie >>>>>>>>>>> Belie
Siege >>>>>>>>>>> Besiege
Error >>>>>>>>>>> Err
People>>>>>>>>>>> Populate
Peril >>>>>>>>>>> Imperil
Poison >>>>>>>>>>>empoison
Prison. >>>>>>>>>>> Imprison
Friend. >>>>>>>>>>> Befriend
Fool. >>>>>>>>>>> Befool
Head. >>>>>>>>>>> Behead
Sale. >>>>>>>>>>> Sell
Thief >>>>>>>>>>> Thieve
Grief. >>>>>>>>>>> grieve
Belief. >>>>>>>>>>> Believe
Relief >>>>>>>>>>> Relieve
Half >>>>>>>>>>> Halve
Shelf. >>>>>>>>>>> shelve
Calf. >>>>>>>>>>> Calve
Life. >>>>>>>>>>> live
Safe. >>>>>>>>>>> Save
Tooth. >>>>>>>>>>> Teethe
Bath. >>>>>>>>>>> Bathe
Breath.>>>>>>>>>>> Breathe
Sooth. >>>>>>>>>>> Soothe
Sheath. >>>>>>>>>>> Sheathe
Cloth. >>>>>>>>>>> Clothe
Jeopardy. >>>>>>>>>>> Jeopardise
Blood. >>>>>>>>>>> Bleed
Danger >>>>>>>>>>> Endanger
Gulf. >>>>>>>>>>> Engulf
Shrine. >>>>>>>>>>> Enshrine
Slave >>>>>>>>>>> Enslave
Grave. >>>>>>>>>>> Engrave
Tangle. >>>>>>>>>>> Entangle
Courage >>>>>>>>>> Encourage
circle. >>>>>>>>>>> encircle
Tomb. >>>>>>>>>>> entomb
Roll. >>>>>>>>>>> enroll
List >>>>>>>>>>> enlist
Title. >>>>>>>>>>> entitle
Act. >>>>>>>>>>> enact
Venom. >>>>>>>>>>> envenom
power >>>>>>>>>>> empower
Body. >>>>>>>>>>> embody
Growth. >>>>>>>>>>> grow
Laughter. >>>>>>>>>>> Laugh
Hatred. >>>>>>>>>>> hate
Throne. >>>>>>>>>>>enthrone
Light. >>>>>>>>>>> Enlighten
Heart >>>>>>>>>>> hearten Brotherhood >>>>>> Fraternize

Bank Written · BSC Written

এক নজরে মাহাথির মোহাম্মদ

এক নজরে মাহাথির মোহাম্মদ
আমাকে দশজন যুবক দাও, আমি মালয়ীদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্বজয় করে ফেলব’। তিনি মালয়ীদের নিয়ে ঠিকই বিশ্ব জয় করেছে। এক আদর্শিক চেতনা নিয়ে মাহাথির মোহাম্মদ দারিদ্র্যের তলানীতে অবস্থান করা মালয়েশিয়াকে তুলে এনেছেন উন্নয়ন আর আধুনিকতার শীর্ষে। তিনি আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার। শুধু মালয়েমিয়াতে নয় তার রাষ্ট্র পরিচালনা এবং উন্নয়নের মন্ত্র সমগ্র বিশ্বেই রোলমডেল হিসেবে স্বীকৃত। বাস্তববাদী এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ ডা. মাহাথির মোহাম্মদ আক্ষরিক অর্থেই পৃথিবীর তাবত শাসকদের জন্য একটি অনুকরণীয় আদর্শ।
মাহাথির মোহাম্মদের গল্পের শুরুটা কিন্তু অন্য আট-দশটি দুনিয়া পাল্টানো গল্পের মতোই সাদামাটা। আলো ঝলমলে যে আধুনিক মালয়েশিয়া আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে, সেই চোখ ধাঁধানো কী আগে থেকেই ছিল? ইতিহাস বলছে ভিন্ন কথা। এই মালয়েশিয়া আসলে রূপকথার সফল বাস্তবায়নেরই প্রতিচ্ছবি।
একসময়ের মালয়েশিয়া ছিল দারিদ্র্যপীড়িত একটি অগোছালো রাষ্ট্র। শুধু কি দরিদ্রতা? দরিদ্রতার পাশাপাশি নিরক্ষরতা আর পশ্চাদমুখিতার কারণে অর্থনীতির ভঙ্গুর দশা কাটানোর কোনো উপায়ই বলতে গেলে ছিল না। এরপর পাল্টানোর গল্পটাও কিন্তু একদিনের নয়।
টেংকু আবদুর রহমান প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহুধাবিভক্ত দেশটিতে রোপণ করেন ঐক্যের বীজ। ঐক্যের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করে দেশ পরিবর্তনের যে ধারার সূচনা তিনি করেছিলেন তা তার উত্তরসূরি আবদুল রাজ্জাক, টোয়াংকু ইসমাঈল এবং ডা. মাহাথির বিন মোহাম্মদ ধরে রেখেছিলেন। এর মধ্যে শেষোক্তজন কেবল ধারা বজায় রেখেই ক্ষান্ত হননি। তার নীতি আদর্শ আর দেশ পরিচালনার জাদুস্পর্শে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন অন্য সবাইকে। তিনি আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি ও রূপকার হিসেবে পৃথিবীতে নন্দিত হয়েছেন। মূলত মাহাথির মোহাম্মদের হাত ধরেই দারিদ্র্যপীড়িত মালয়েশিয়া পৌঁছে যায় স্বপি্নল সাফল্যের বিশ্বে।
স্বাধীনতার সময় যে মালয়েশিয়ার অধিকাংশ জনসমষ্টি ছিল বেকার অথবা অর্ধবেকার, মাত্র দুই দশকে নিজের দেশের বেকারত্ব ঘুচিয়ে সেই মালয়েশিয়ায় কর্মরত রয়েছেন বিদেশের লাখ লাখ কর্মী। স্বাধীনতার সময় এমনকি পরবর্তী সময়েও যে মালয়েশিয়া প্রায় প্রকম্পিত হয়েছে নিম্নস্তরের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়, সেই মালয়েশিয়া আজ রূপান্তরিত হয়েছে একটি সুস্থ, নিরাপদ, উদার, কল্যাণমুখী জনপদে।
কিন্তু মাহাথির মোহাম্মদ এবং পূর্বসূরিদের রাজনৈতিক লক্ষ্য ছিল জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। মাহাথির অতীতকে স্মরণে রেখে বর্তমানকে সাজিয়েছেন এবং বর্তমানকে সাজানোর সময় ভবিষ্যৎকে সুস্পষ্টভাবে মনে রেখেছেন।
শিক্ষা জীবনের শুরুতে
মাহাথির তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন সেবেরাং পেরাক মালয় স্কুলে। কিন্তু তিনি চাইতেন ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করতে। সমস্যা হলো, ইংরেজরা মালয় ছেলেমেয়েদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোতে সহজে সুযোগ দিত না। ভর্তি পরীক্ষা হতো খুবই কঠিন। তাই মালয় ছেলেমেয়েদের জন্য সুযোগ পাওয়া ছিল দুঃসাধ্য। সেই ছোটবেলাতেই তিনি এ বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথমদিকে স্থান করে নেন। আলোর সেতারের গভর্নমেন্ট ইংলিশ স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু করেন মাহাথির।
বাসায় তাদের একজন ধর্ম শিক্ষক ছিলেন যিনি প্রতিদিন বাড়িতে এসে পবিত্র কোরআন, ইসলাম ধর্মের ওপর বিশ্বাস এবং ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান শেখাতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালে জাপান মালয়েশিয়া আক্রমণ করে। তখন সেখানকার ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে একটি জাপানি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। মাহাথিরের বয়স তখন মাত্র ১৬। প্রথমে তিনি জাপানি স্কুলে যেতে চাননি। ওই সময় মাহাথির একটি স্থানীয় ছোট বাজারে কলা বিক্রি শুরু করেন। কিন্তু পিতার চাপে তিনি পরবর্তীতে ওই জাপানি স্কুলে ভর্তি হন। মালয়েশিয়ায় জাপানি শাসন প্রায় তিন বছর স্থায়ী ছিল। ১৯৪৭ সালে তিনি সিঙ্গাপুরের কিং এডওয়ার্ড মেডিসিন কলেজে ভর্তি হন এবং চিকিৎসা শাস্ত্রে অধ্যয়ন সমাপ্ত করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়া ফিরে আসেন।
জীবনসঙ্গী
মাহাথির মোহাম্মদের সফল সাধারণ জীবনে কখনোই ঝামেলা ছিল না। আর জীবনসঙ্গিনী নির্বাচনেও তিনি সাদামাটা মানুষেরই পরিচয় দেন। সিঙ্গাপুরে পড়ার সময় সিথি হাসমা মো. আলীর সঙ্গে মাহাথিরের পরিচয় হয়। সিথি হাসমা তখন দ্বিতীয় মালয় মহিলা হিসেবে সিঙ্গাপুরে বৃত্তি নিয়ে একই কলেজে চিকিৎসাশাস্ত্র পড়ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৫৬ সালের ৫ আগস্ট তারা বিয়ে করেন। তখন তার বয়স ছিল ৩৩ বছর এবং তার স্ত্রী ডা. সিথি হাসমার বয়স ছিল ২২ বছর। তাদের মোট সাতজন সন্তান আছে, এর মধ্যে আবার তিনজনকে তারা দত্তক নিয়েছিলেন।
রাজনীতির বীজ কৈশোরেই
সাধারণ আট-দশজন মেধাবী শিক্ষার্থী যেখানে রাজনীতি আর রাষ্ট্রীয় ঝুট-ঝামেলা থেকে বিরত থাকতে চান, সেখানে ব্যতিক্রম ছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। তার রাজনৈতিক আগ্রহের পরিচয় মিলেছিল সেই কিশোর বয়সেই। মাহাথিরের বয়স যখন ২০ বছর তখনই রাজনীতির সিংহ দরজায় কড়া নেড়ে ওঠেন তিনি। সমমত আর একই আদর্শের অনুসারী সহপাঠীদের একত্র করে তিনি গোপনে ‘মালয়ান ইউনিয়ন’ প্রস্তাবের বিরুদ্ধাচরণ শুরু করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত জাপানিরা চলে যাওয়ার আগে তৎকালীন মালয়েশিয়াকে তারা থাই সরকারের শাসনাধীনে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে ব্রিটিশরা আবার ফিরে আসে এবং ‘মালয়ান ইউনিয়ন’ প্রতিষ্ঠা করে। মালয়ান ইউনিয়ন সত্যিকার অর্থে সম্পূর্ণ উপনিবেশ ছিল। আর এটারই প্রতিবাদে মাঠে নামেন মাহাথির ও তার বন্ধুরা। তারা তখন রাতের অন্ধকারে সারা শহরে রাজনৈতিক বাণী সম্বলিত পোস্টার লাগাতেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সীমিত, ‘মালয়ান ইউনিয়ন’ প্রস্তাবের সমাপ্তি এবং প্রজাতন্ত্রের মর্যাদা ফিরে পাওয়া। সাইকেল চালিয়ে তারা সমগ্র প্রদেশ ঘুরে ঘুরে জনগণকে ব্রিটিশবিরোধী হিসেবে সংগঠিত ও সক্রিয় করার কাজে ব্যস্ত থাকতেন। সংগঠনে মাহাথির সাধারণত সম্পাদক বা দ্বিতীয় অবস্থানটা বেছে নিতেন, কারণ দ্বিতীয় ব্যক্তিকেই বেশি সাংগঠনিক কাজ করতে হয় ও অন্য দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়। মাহাথির প্রথম কেদাহ মালয় যুব ইউনিয়ন এবং পরে কেদাহ মালয় ইউনিয়ন নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন, যা পরবর্তীতে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড মালয় ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন বা ইউএমএনও হিসেবে পরিচিত হয়।
সিঙ্গাপুরে ছাত্রনেতা
সিঙ্গাপুর জীবন খুব বেশি বর্ণিল ছিল না মাহাথির। কিন্তু সেখানে রাজনীতি না হলেও সাংগঠনিক নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন ঠিকই। সিঙ্গাপুরে থাকাকালীন মাহাথির সেখানের কলেজের মালয় ছাত্রদের নিয়ে ‘মালয় ছাত্র সংগঠন’ গঠন করেন। তবে এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রদের শিক্ষার মান ও ফলাফল উন্নয়ন করা। এর কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না।
নিম্নমধ্যবিত্তের একজন
তার জন্ম ১৯২৫ সালের ১০ জুলাই মালয়েশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এ্যালোর সেটরে। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সেখানকারই একটি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে। পিতা মোহাম্মদ ইস্কান্দারের নয় সন্তানের মধ্যে মাহাথির ছিলেন সবার ছোট। মাহাথিরের পিতা প্রথম জীবনে একজন সাধারণ স্কুলশিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি একজন সরকারি অডিটর হিসেবে কাজ করেছেন।
তার পিতা ছিলেন অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ একজন মানুষ। শৃঙ্খলা এবং গুছিয়ে চলার যে সহজাত গুণ মাহাথিরের পরবর্তী জীবনে খুঁজে পাওয়া যায়, সেটি তিনি তার পিতার কাছ থেকে পেয়েছেন বলেই ধারণা করা হয়। খেয়াল করলে দেখা যাবে মাহাথির ছোটবেলা থেকেই দারুণ সুশৃঙ্খল জীবন পালন করেছেন। মাহাথিরের মা সাধারণ গৃহিণী হলেও তিনি ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। ছোটকাল থেকেই তিনি মাহাথিরকে বাসায় পবিত্র কোরআন শিক্ষা দিতেন। মাহাথিরের সাধারণ জীবন দেখে বোঝার উপায় ছিল না এই ছেলে একদিন বিশ্ব কাঁপাবে। তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
চট্টগ্রামের মাহাথির! হয়তো অনেকেরই জানা আছে আবার অনেকেই অজানা। চট্টগ্রাম জেলার উত্তরাংশে রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা ও কাপ্তাইগামী সড়কের সামান্য পূর্বে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ গ্রাম মরিয়মনগর। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এ গ্রামের এক যুবক ব্রিটিশ শাসিত মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। তিনি ছিলেন জাহাজের নাবিক। মালয়েশিয়ায় এ্যালোর সেটর গিয়ে এক মালয় রমণীর সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরেই জন্ম নেয় মোহাম্মদ ইস্কান্দার। আর এই মোহাম্মদ ইস্কান্দারের ছেলে সন্তান হিসেবে জন্ম নেন মাহাথির। সে হিসেবে চট্টগ্রাম হচ্ছে মাহাথিরের পূর্বপুরুষের দেশ।
বর্ণিল কর্মজীবন এবং রাজনীতি
মাহাথির সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত আসেন ১৯৫৩ সালে। সেখান থেকে ফিরে তিনি একজন চিকিৎসক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। মালয়েশিয়ার স্বাধীনতার ঠিক আগে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। তবে চিকিৎসা পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ঠিকই। তখন তিনি তার নিজের নিজ শহর এ্যালোর সেটরে মাহা-ক্লিনিক নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিক শুরু করেন। শহরের পাঁচটি প্রাইভেট ক্লিনিকের মধ্যে এটি একমাত্র মালয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্লিনিক ছিল। তিনি রোগীদের বাড়িতে যেতেন এবং মাঝে মাঝে ছোটখাটো অস্ত্রোপচার করতেন। মাহাথিরের মতে, চিকিৎসক হিসেবে তার প্রশিক্ষণ ও প্র্যাকটিস তার মধ্যে স্থিরতা এনেছিল ও তাকে যে কোনো পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে সক্ষম করেছিল। তিনি একবার ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ পত্রিকাতে বলেছিলেন, ‘চিকিৎসা বিদ্যায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকের জন্য রাজনীতি একটি ভালো পেশা। একজন ডাক্তার রোগীকে পর্যবেক্ষণ করেন, স্বাস্থ্যগত ইতিহাস রেকর্ড করেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন, ল্যাব পরীক্ষা করেন এবং চূড়ান্তভাবে রোগ নির্ণয় করেন। এ প্রক্রিয়াটি রাজনীতির মতোই।
মাহাথিরের রক্তে মিশে ছিল দেশাত্মবোধ আর রাজনীতি। তিনি ১৯৬৪ সালে কোটা সেটর দক্ষিণ এলাকা থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হলে কী হবে? তিনি তার দলের অনেক নীতির সঙ্গে একমত হতে পারেননি। ১৯৬৯ সালে তিনি একটি বই লেখেন, যার নাম The maloy dilima বা মালয়ীদের উভয় সংকট। বইটি নিষিদ্ধ করা হয়।
১৯৬৯ সালের ৩০ মে কুয়ালালামপুরে চীনা ও মালয় জাতির মধ্যে তুমুল দাঙ্গার জন্য মাহাথির ইউএমএনও নেতৃত্বকে দোষারোপ করে প্রধানমন্ত্রী টেংকু টুংকু আবদুর রহমানকে খুব কঠিন ভাষায় একটি চিঠি লেখেন ও তাকে পদত্যাগের পরামর্শ দেন। এ সমালোচনায় পার্টি নেতৃবৃন্দের দলীয় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মাহাথিরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি তখন আবার তার পেশায় ফিরে গেলেও অনেক ঘটনার পর ১৯৭২ সালের ৭ মার্চ পার্টিতে আবার ফিরে আসেন। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালের নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী হন। শিক্ষামন্ত্রী হয়ে তিনি ঘোষণা দেন তার নামে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা যাবে না। এই ধারা তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েও অব্যাহত রাখেন। তার কোনো ছবি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিংবা সরকারি অফিসে টাঙানো যাবে না বলেও তিনি নির্দেশ দেন। মালয়েশিয়াকে বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষা সংস্কার হচ্ছে মাহাথিরের প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। ১৯৭৫ সালে মাহাথির পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তুন হোসেন ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে তিনি দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথকেও সুগম করেন। ১৯৮১ সালের ১৬ জুলাই ৫৫ বছর বয়সে ডা. মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার চতুর্থ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং একটানা ২২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ৭৭ বছর বয়সে ২০০৩ সালের ৩১ অক্টোবর স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ও রাজনীতি থেকে বিদায় নেন।
তিনি আবারও রাজনীতিতে যোগ দেন। দেশটির ১৪তম সাধারণ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে সপ্তমবারের মত দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তাঁর নতুন দল “পাকাতান হারাপান” ২২২টি আসনের মধ্যে ১১৫টি আসন লাভ করে। ১৫ মে শপথ নেন । তার একটা বিখ্যাত উক্তি যা আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের জন্য প্রণিধানযোগ্য -” If you want to be a leader, you must have ideas.It not, you are simply a follower!”

BANK Tips

বাংলাদেশ ব্যাংক সহকারী পরিচালক নিয়োগ প্রস্তুতি

বাংলাদেশ ব্যাংক সহকারী পরিচালক নিয়োগ প্রস্তুতি
আজকেই সুন্দর একটা প্লান করুন।বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে-৫ টি বিষয় মেনে চলুন প্রস্তুতি সহজ হবে-অন্য পরীক্ষার জন্যও এগুলো সমান গুরুত্বপূর্ণ-
.
১. প্রতিটি সাবজেক্ট এ সমান গুরুত্ব দিন :
দেখবেন আপনি যে সাবজেক্টে ভাল সে সাবজেক্টই আপনার বেশি পড়তে ইচ্ছে হয় বা ভাল লাগে-যেমন যে ম্যাথে ভাল সে সারাদিন ম্যাথ করে। এ বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মনের বিরুদ্ধ হলেও এটা করতে হবে। একনাগারে একটি সাবজেক্ট বেশিক্ষণ (৩০ থেক ৪৫ মিনিট এর বেশি নয়) পড়বেন না এতে ইফিসিয়েন্সি হ্রাস পায়।
.
২. নোট করতে শিখুন :
প্রস্তুতির জন্য সবার কাছেই কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ টি করে বই আছে কিন্তু সব বইয়ের সবকিছু সমান গুরুত্ব বহন করে না। তাই গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো নিজের হাতের লেখায় একটি এক্সক্লুসিভ কপি মেইনটেইন করুন। উদাহরণ হিসেবে বলব-নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধিগুলো, শর্টকাট নিয়ম, বেখাপ্পা বানান, প্রভৃতি লিখে রাখতে পারেন। দেখবেন প্রস্তুতিটা অনেক গোছানো হবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা কপি সংরক্ষণ করতে না পারলেও একটা খাতার মধ্যেই কয়েকটা আলাদা পার্ট করে সংরক্ষণ করুন।
.
৩. ফ্ল্যাশ কার্ড তৈরী করুন:
এটা খুবই উপকারী বিশেষত চলার পথে গাড়ির মধ্যেও ব্যবহার করতে পারবেন। একপাশে একটি/দুটি শব্দ অন্যপাশে অর্থ। আমি এটা করেছিলাম বিশেষত টিউশন করাতে যাওয়া ও আসার সময়টাতে বেশ কাজে লাগত।
.
৪. পড়ার রুমের পরিবেশ উপযোগী করুন :
পড়ার রুমটা যতদূর সম্ভব ইলেকট্রনিক ডিভাইস মুক্ত রাখুন। একটা গোছানো রুমে পড়ার পরিবেশ থাকে এবং খুব সহজেই কনসেট্রট করা যায়। এবং পড়ার সময় ভাববেন ২৫-৩০ মিনিট পরই আমাকে এ সাবজেক্টটা রেখে অন্য একটি ধরতে হবে-তাহলে কনসেনট্রেট ভাল থাকবে আশাকরি।
.
৫. নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন :
আপনার ফ্রেন্ড বা পরিচিতদের চাকুরী হয়ে গেছে, নিজের কাছে হতাশ মনে হচ্ছে?!-হতেই পারে কিন্তু বিচলিত হলে তা আপনার জন্যই খারাপ। বিশ্বাস রাখুন নিজের উপর ; আপনার জন্য আআরও ভালকিছু অপেক্ষা করছে।
ধন্যবাদ।
///
ইউসুফ বিন আলী , সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।