BCS Preliminary Tips

৪০তম বিসিএস (প্রিলি.) প্রস্তুতি

“৪০তম বিসিএস (প্রিলি.) প্রস্তুতি”

পর্ব-১ : সার্বিক প্রস্তুতিকৌশল

বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য আপনাকে সর্বমোট ৩টি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বিসিএস (প্রিলিমিনারী) পরীক্ষা। কারণ বিসিএস (প্রিলি.) পরীক্ষা সর্বপ্রথম শুরু হয় এবং এই পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হয়।সুতরাং বিসিএস (প্রিলি.) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে আপনাকে অবশ্যই systematic way তে study করতে হবে।

কিভাবে পড়বেন?

-প্রথমে ১০-৩৮ তম বিসিএস (প্রিলি.)-র প্রশ্নগুলো সমাধান করে ফেলবেন।

-বিশেষ করে ৩৫-৩৮ তম বিসিএস (প্রিলি.)-র প্রশ্নগুলো ভালো করে analysis করবেন। অর্থাৎ কোন type question হয়! তা ভালো করে বোঝার চেষ্টা করবেন।

-পড়ার সময় সর্বদা সিলেবাস follow করবেন।

-কোন বিষয়ে দুর্বলতা থাকলে ঐ বিষয় দিয়ে পড়া শুরু করবেন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা Bangla literature ও English literature এবং অন্যান্য বিভাগের ছাত্ররা Math ও Science দিয়ে শুরু করবেন। কারণ কোন বিষয়ের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠলে আপনার confidence level অনেক গুনে বেড়ে যাবে।

-সাধারণ জ্ঞান সবার শেষে পড়বেন।

কি কি বই পড়বেন?

★বাংলা:
১. George’s Bangla mp3
২. শীকর বাংলা প্রশ্ন-পাঠ (ব্যাখ্যাসহ প্রশ্নাবলী ভাল
৩. লাল নীল দীপাবলি (
৪. ৯ম-১০ম শ্রেণীর বাংলা ২য় পত্র

(বি.দ্র.
-‘শীকর বাংলা প্রশ্ন-পাঠ’ থেকে ব্যাখ্যাসহ প্রশ্নাবলী ভালভাবে পড়বেন।
-‘লাল নীল দীপাবলি’ থেকে শুধুমাত্র প্রাচীনযুগ ও মধ্যযুগের সাহিত্য পড়বেন।
-১০-৩৭তম বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার সাহিত্য ও ব্যাকরণ অংশের প্রশ্নাবলী সমাধান করে ফেলবেন)

★ইংরেজি:
১. Master English Grammar
২. An ABC English Literature
৩. Miracle English Literature
৪. Vocabuilder (for Vocabulary)

[ বি.দ্র. Grammar অংশে identification of parts of speech, voice change, Sentence correction, Simple/Complex/Compound Sentence, Right forms of verb, Clause, Synonym, Antonym, Spelling, Singular/Plural Word, Preposition, Classification of Noun, Classification of Pronoun, Phrase ইত্যাদি ভাল করে পড়বেন।

Literature অংশে English literary periods & writers, Literary terms,books of writers, Quotation, male-female writers, nobel laureates,title of different writers ইত্যাদি ভাল করে পড়তে হবে। ]

★গনিত:
১. Khairul’s Basic Math
২. George’s mental ability

[ বি.দ্র. ১০ম-৩৭তম বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার মানসিক দক্ষতার প্রশ্নাবলী সমাধান করে ফেলবেন। ]

★বাংলাদেশ:
১. George’s mp3
২. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
৩. ৯ম-১০ম শ্রেণীর ইতিহাস বই (সিলেবাসের টপিক দেখে দেখে পড়বেন)

★আন্তর্জাতিক:
১. George’s mp3

[ বি.দ্র. ১০ম-৩৭তম বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার short question গুলো ভাল করে পড়বেন।

Recent issues যেমন: কাতার ইস্যু, সিরিয়া ইস্যু, রোহিঙ্গা ইস্যু, মালদ্বীপ ইস্যু, ইয়েমেন ইস্যু, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, GCC, AIIB, NDB, BRICS, USA, CHINA, INDIA, WB, UN, UNESCO, NATO, EU, যুদ্ধ, পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিভিন্ন নীতি, ইত্যাদি ভাল করে পড়বেন ]

★বিজ্ঞান:
১. প্রফেসর’স বিজ্ঞান গাইড
২. Easy computer
৩. ৯ম-১০ম শ্রেণীর সাধারণ বিজ্ঞান বই

[ বি.দ্র. Computer অংশে কম্পিউটারের প্রকারভেদ, বিভিন্ন অংশ, প্রজন্ম, Input-Output device, Email, Gmail, Amazon, Yahoo, YouTube, Instagram, Google+, Twitter, Android, Apple, Microsoft, IBM, Transistor, IC, Mouse, Skype, Linkedin, Operating system, LAN, MAN, WAN, RAM, ROM, 3G, 4G, Language, Language translator, Binary system, System software, Application software, WWW, Internet, Virus, Web browsers, Web page, Logic gate, Operating System ইত্যাদি ভাল করে পড়বেন ]

★ভূগোল ও দুর্যোগ:
১. অ্যাসিওরেন্স গাইড
২. ৯ম-১০ম শ্রেণীর ভূগোল বই

★নৈতিকতা,মূল্যবোধ ও সুশাসন:
১. অ্যাসিওরেন্স গাইড

কিছু পরামর্শ:

-বিসিএস (প্রিলি.)-র জন্য পেপার পড়া বাধ্যতামূলক নয়।

-টার্গেট নিয়ে study করবেন। অর্থাৎ কোন বিষয় (যেমন: বাংলা সাহিত্য) পড়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান দিন নির্ধারণ করে নিবেন। ঐ সময়ে অন্য কোন বিষয় পড়বেন না।

-সর্বদা positive mind নিয়ে পরীক্ষা দিবেন।

-Bangladesh Awami league এর official page এ like দিয়ে প্রাত্যহিক তথ্যগুলো দেখে নিবেন।

|| ধন্যবাদ ||

শুভকামনায়,
-মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী
-সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সুপারিশকৃত)
-মেধাক্রম-৭ম, 36 BCS

BANK Tips

বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার

২৭ তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার পোষ্টের এক্সাম। অনেকেই এই সম্পর্কে লিখার জন্য ইনবক্স করতেছে । কিন্তু আমার মতো একজন নগণ্য মানুষ এই বিষয়ে লিখার যোগ্যতা রাখি না। তাও পুরোনো লেখাটা এডিট করে দিলাম।

বিস্তারিত সিলেবাস :-
প্রথমেই মনে রাখতে হবে ব্যাংকের এক্সামের জন্য নির্দিষ্ট করে কোন সিলেবাস নাই। তারপরেও বিগত বছরের প্রশ্ন গুলো এনালাইসিস করলে দেখা যায় নিচের টপিকস গুলো থেকে প্রিলিমিনারি তে সাধারণত বেশীরভাগ প্রশ্ন আসে। তাই এই টপিকস গুলো দেখে যেতে পারেন।

Mathematics:-

1. Percentage, Ratio & Fraction
.
2. Partnership, Profit & Loss, Interest
.
3. Time- Work- Distance, Age, Speed ( Car, Train, Boat & Streams)
.
4. Algebra, Number System, Set and Venn Diagram
.
5. Pipe – Cistern, Average, Geometry

Analytical Ability :-
1. Critical Reasoning
2. Data Sufficiency
3. Analytical Puzzle
4. IQ ( Series, Day finding, Letter – Arranging)

——————–
ইংরেজি :- ইংরেজি অংশে মূলত দুই ধরণের প্রশ্ন হয়। যথা :-
1. Vocabulary Based
2. Grammar Based

আবার Vocabulary তে দুই ধরণের প্রশ্ন হয় যথা :-
— General Vocabulary
— Contextual Vocabulary
যে ধরণের প্রশ্নই হোক না কেন, মূলত নিচের কমন টাইপ কোয়েশ্চন গুলো হয়।
Vocabulary Based Topics :-

1. Synonym & Antonym, One word Substitution, Replacing underlined word .
.
2. Analogy, Odd man out, Spelling, Sentence Completion

3. Group verb, Appropriate preposition, Idioms & Phrase.

Grammar Based Topics:-
1. Error Finding
.
2. Sentence Correction
.
3. Correct Sentence Choice
.
4. Rearrange Sentence Parts
.
5. Grammar Based Fill in the blanks

—————–

বাংলা :-

১. সমার্থক শব্দ, বীপরিত শব্দ, এক কথায় প্রকাশ
.
২. শুদ্ধ ও শুদ্ধ বানান, বাগধারা, প্রবাদ প্রবচন
.
৩. বাংলার শব্দ ভান্ডার, ব্যাকরণ, আধুনিক যুগের কয়েকজন সাহিত্যিকের জীবনী ও সাহিত্যকর্ম।

বিসিএস এর মতো সাহিত্যের অংশটুকু এখানে ততটুকু গুরুত্বপূর্ণ নয় । এক থেকে দুইটা প্রশ্ন আসে। যাদের বিসিএস এর প্রিপারেশন ভালো ছিলো বা আছে তারা এমনিতেই পারবেন । আর বাকী ৯০% প্রশ্ন আসে সাহিত্যবাদে অনান্য টপিকস গুলো থেকে।

————————

সাধারণ জ্ঞান :-
এখানে দুই ধরনের প্রশ্ন হয়। এক ধরণের প্রশ্ন হয় সাম্প্রতিক বিষয় গুলো নিয়ে আরেক ধরণের প্রশ্ন হয় ফিক্সড বিষয় গুলোকে নিয়ে। এখানে নির্দিষ্ট করে সিলেবাসটা বলা মুশকিল। তারপরেও বিগর বছরের প্রশ্ন গুলো এনালাইসিস করলে দেখা যায় নিচের বিষয় গুল প্রাধান্য পাচ্ছে:-
.
১. সাম্প্রতিক:- সমসাময়িক রাজনীতি, নারীনীতি, সমাজনীতি, পরিবেশনীতি, নির্বাচন, খেলাধুলা, পুরস্কার।
.
২. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা বিষয়ক তথ্য।
.
৩. বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি বিষয়ক তথ্য — জিডিপি, মাথাপিছু আয়, মুদ্রা, জাতীয় ব্যাংকের নাম।
.
৪ জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক সহ এদের সমস্ত অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়ীক চুক্তি গুলো।
.
৫. বাংলাদেশ ( ১৯৪৭ – ১৯৭১)

—–

কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি :-
1. Computer & Internet Basic :-
Generation Of computers, Types of Computer, Computer Memory, MS word, MS Excel, CPU.
.
2. Bit & Byte, Operating System, Various File extension — Doc, dcox, PDF, Mpg etc.
.
3. Keyboard Shortcut, Computer Abbreviation, Different Networking System — LAN, MAN, WAN etc.
.
4. Programming Language, Software, Data Security, Antivirus, Social networking

অনুবাদ

অনুবাদ চর্চা

বাংলা থেকে ইংরেজি
তারিখ: ১৯/০৪/২০১৮

~চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের উপর বিশেষ নজরদারি চালাবে সরকার।

Government will carry special supervision on Mirsarai Economic zone of Chittagong.

~সবকিছু ঠিক থাকলে এটিই হতে যাচ্ছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

Under all conditions unchanged, it is going to be the largest economic zone of Asia.

~প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তর অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত মিরসরাই-সোনাগাজী অর্থনৈতিক জোনের উদ্বোধন করেছেন।

prime minister sheikh Hasina has inaugurated Mirsarai-Sonagazi economic zone as country’s largest economic zone on 28th February 2018.

~ চট্টগ্রাম সুমদ্র বন্দর হতে ৬৭ কিলোমিটার দূরে মিরসরাই উপজেলা ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় এর অবস্থান।

It is located 67 km away from Chittagong sea port on Mirsarai upzilla and sunagazi upzilla of Feni

~বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো বাস্তবায়ন করছে।

The infrastructure of these economic zone is being implemented by Bangladesh economic zone Authority (BEZA).

~বেজার তথ্যমতে, মিরসরাই ও সোনাগাজীর ৭ হাজার ৭১৬ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল।

According to the information of BEZA, this economic zone will be established on 7 thousands 716 acres land of mirsorai and sonagazi.

~এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১ হাজার ২২২টি কারখানার প্লট তৈরি করা হবে।

1 thousands 222 factories plots will be built in this economic zone.

~এ শিল্পাঞ্চলে আগামী ১৫ বছরে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে।

Employment for 30 lakh people may be created in this industrial zone within next 15 years.

~ যদি প্রকল্পটি বাস্তবে রুপ নেয় তবে বাংলাদেশ অনেকটাদূর এগিয়ে যাবে।

If the project is implemented, people of Bangladesh will reach far ahead.

By
সৌরভ দেবনাথ সাগর
MBA, SUST

BSC Written

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি – PSI, SDG

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
PSI কী?
PSI stands for Policy Support Instrument.
বাংলায় ” নীতি সহায়তা কৌশল “। এটি এক প্রকার চুক্তি যার মাধ্যমে কোন দেশ IMF(International Monetary Fund) থেকে ঋণ পাবে না, কিন্তু তাদের শর্ত ও পরামর্শ মেনে চলতে হবে এবং IMF এর সার্টিফিকেটের উপর নির্ভর করবে চুক্তিবদ্ধ দেশটি অন্য কোন দেশ বা দাতাগোষ্ঠী থেকে ঋণ বা সাহায্য পাবে কি না। আসলে চুক্তিটির মুখ্য উদ্দেশ্য কোন দেশের উপর IMF এর কতৃত্ব ধরে রাখা। যে দেশটি IMF এড় কাছে ঋণী নয় বা আর ঋণ নেয়ার প্রয়োজন নেই, সেসব দেশের অর্থননৈতিক নীতি প্রণয়নে কতৃত্ব ধরে রাখার জন্যই IMF এর এই নীতি।
//
SDG?
SDG stands for Sustainable Development Goals. ২০১৫ সালে জাতিসংঘের ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ এর মেয়াদ শেষ হলে জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশের জন্য “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা” নামক ১৭টি টার্গেট ও ১৬৯টি লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং সময় বেধে দেয়া হয়েছে ২০১৬-২০৩০ সাল। এই ১৭টি টার্গেট হলো:
১) দারিদ্র্য বিমোচন
২) ক্ষুধা মুক্তি
৩) সু স্বাস্থ্য
৪) মানসম্মত শিক্ষা
৫) লিঙ্গ সমতা
৬) সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা
৭) নবায়নযোগ্য ও ব্যয়সাধ্য জ্বালানী
৮) কর্মসংস্হান ও অর্থনীতি
৯) উদ্ভাবন ও উন্নত অবকাঠামো
১০) বৈষম্য হ্রাস
১১) টেকসই নগর ও সম্প্রদায়
১২) সম্পদের দায়ীত্বপূর্ণ ব্যবহার
১৩) জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপ
১৪) টেকসই মহাসাগর
১৫) ভূমির টেকসই ব্যবহার
১৬) শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠা
১৭) টেকসই উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব

Uncategorized

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতিঃ বাংলা সাহিত্য

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
আসুন একটু কৌশল এবং analysis করে পড়াশুনা করি,,, এতে স্বল্প সময়ে অধিক প্রিপারেশন নেয়া যাবে,,
বিষয়: বাংলা ।টপিক: সাহিত্য ।
আমি ৩৮ তম লিখিত পরীক্ষার্থী। এটাই আমার ১ম বিসিএস পরীক্ষা , আমার মনে
হয় ২ধরনের লোকজন ক্যাডার হয়,
১) যারা ছোটবেলা থেকেই পড়ার টেবিলে।
২) যারা কৌশল অবলম্বন করে,
আমি অবশ্যই ২ নং এ আছি।
লিখিত সিলেবাসর প্রতিটি টপিক নিয়ে আমার সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ রয়েছে,, আমার বিশ্লেষণ অনুযায়ী পড়লে আমার মনে হয় ৩০ দিনেই লিখিত পরীক্ষার ৭০% ভালভাবে শেষ করা সম্ভব, চলুন দেখে নিই,,
বাংলা সাহিত্য ৩০ নম্বরের জন্য ৩৫ – ৩৭ তম তে মোট ১০ টি করে প্রশ্ন এসেছে যার মধ্যে প্রাচীন, ও মধ্য যুগ থেকে ৩৫ এ ৪টি, ৩৬ এ ৫টি, ৩৭ এ ২টি প্রশ্ন এসেছে,, তাই আপনি প্রাচীন ও মধ্য যুগ প্রায় ২০ পৃষ্ঠা পড়লেই প্রায় ৩-৫টি প্রশ্ন পেয়ে যাবেন,
এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ এবং ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক যে কয়টি সাহিত্য রয়েছে তা থেকে ৩৫ এ ১টি, ৩৬ এ ২টি, ৩৭ এ ১টি প্রশ্ন এসেছে, সুতরাং ২টি যুগ এবং যুদ্ধ এ ভাষা পরেই আপনি ৪-৬টি প্রশ্ন কমন পাবেন,
আবার, আমাদের জাতীয় কবি এবং রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য থেকে ৩৫ এ ১টি, ৩৬ এ ১টি, ৩৭ এ ২টি প্রশ্ন এসেছে,, সুতরাং এগুলো সহ পড়ে ফেললে আপনি ৩৮ এ ৫-৭ টি প্রশ্ন ১০০% পাবেন,,
এছাড়া, আপনি খেয়াল করলে দেখবেন ৩৫,৩৬,৩৭ বাংলা প্রিলি প্রশ্নে psc কর্তৃক নির্ধারিত ১০জন কবির বাইরেও ২, ১ জন কবির সাহিত্যকর্ম নিয়ে প্রিলিতে প্রশ্ন এসেছে এবং ঐসব কবির সাহিত্য ঐসব সাহিত্য নিয়ে ৩৫ এ ১টি, ৩৬ এ ১টি, ৩৭ এ ২টি প্রশ্ন হয়েছে,,
বিশ্লেষণ থেকে দেখবেন শুধু এসব টপিক থেকেই ৩৫ এ ৭টি, ৩৬ এ ৯টি, ৩৭ এ ৮টি প্রশ্ন এসেছে,, তাই বলতে পারি শুধু উল্লেখকৃত টপিক পরেই আপনি ৩৮ এ কমপক্ষে ৭টি প্রশ্ন কমন পাবেন ইনশাআল্লাহ,,, যা ভালভাবে পড়তে ১দিনের বেশি সময় লাগবেনা।
আমার এরূপ বিশ্লেষণ যদি কারও ভাল না লাগে দয়াকরে কোন যুক্তিতর্ক না করে এড়িয়ে যাবেন, ধন্যবাদ।
মোঃশাহিন
(আপনাদের কৌশলী সহযোদ্ধা।

BSC Written

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি: গ্রন্থ সমালোচনা: কিভাবে করতে হয়?

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
—বিসিএস রিটেন, বাংলা ২য় পত্র]—————-
✪✪✪ #গ্রন্থ_সমালোচনা: কিভাবে করতে হয়? ✪✪✪
মোজাহিদুল ইসলাম( বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ) ৩৫ তম বিসিএস
[ বিসিএস রিটেনের জন্য গ্রন্থসমালোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। যেহেতু বিষয়টি নতুন তাই এর সম্পর্কে ভাল ধারনা না থাকলে এই অংশে (১৫ নাম্বার) ভাল নাম্বার পাওয়া যাবে না]
#আসুন জেনে নিই গ্রন্থ-সমালোচনার সাধারণ কিছু বিষয়……
=======================================================
ইংরেজি Book Review শব্দটি বাংলা প্রতিশব্দ পুস্তক সমালোচনা বা গ্রন্থ সমালোচনা হিসেবে বহুল পরিচিত। পুস্তক সমালোচনা দু’টি অর্থে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
ক. পুস্তকের উন্নয়ন ও প্রচারের জন্য,
খ. গ্রন্থাগারে পুস্তক বাছাই/নির্বাচনের জন্য।
#পুস্তক সমালোচনার প্রকারভেদ:
পৃথিবীতে কোনো কিছুই সমালোচনার উর্ধ্বে নয়। এর মধ্যে মানুষের সমালোচনা হয় সবচেয়ে বেশি। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব তবুও মানুষের সমালোচনা কোনো অংশেই কম নয়। মানুষসহ অন্যান্য ব্যক্তি, প্রাণির মত পুস্তকেরও সমালোচনা থাকাটাই স্বাভাবিক। সমালোচনার মাধ্যমে যে কোনো কিছুর সঠিকভাবে নির্ণয়, পর্যালোচনা, মাননির্ধারণ, নিয়ন্ত্রণ বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণ সম্পর্কে জানা যায়। তবে শর্ত থাকে যে, সমালোচনা হতে হবে নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ট ও পক্ষপাতমুক্ত সঠিক সমালোচনা। সমালোচনা করার ক্ষেত্রে সমালোচককে হতে হবে অনেক সাবধানী, যাতে করে সমালোচনাটি সঠিক হয়। কারণ সমালোচনার মাধ্যমেই সঠিক ও নিরপেক্ষ বিষয়টি সমাজ, দেশ ও জাতির কাছে প্রষ্ফুটিত হবে। পুস্তকের ক্ষেত্রে পাঠকগণ সমালোচকের কাছে সঠিক সমালোচনাই কামনা করেন। তাই সমালোচককে সবকিছুর উর্ধ্বে থেকে সমালোচনার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। যাতে সমালোচনার দ্বারা কোনো কিছু বিভ্রান্ত নয়। সেই দিকটির প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে সমালোচনায় হাত দিতে হবে। তবেই সমালোচনা সঠিক ও নিরপেক্ষ হবে। অন্যান্য বিষয়ের মত পুস্তকেরও সমালোচনা রয়েছে।
=================================================
#পুস্তকের সমালোচনাকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন-
ক. লিখিত পুস্তক সমালোচনা,
খ. মৌখিক পুস্তক সমালোচনা। নিচে তা বিশদভাবে আলোচনা করা হলো:
বিসিএসে যেহেতু লিখিত পুস্তক সমালোচনা করতে হয় তাই শুধু লিখিত পুস্তক সমালোচনা সম্পর্কে আলোচনা করা হল:
সাধারণত লিখে বা লিখিতভাবে যে সমালোচনা করা হয়ে থাকে তাকে লিখিত সমালোচনা বলা হয়। পত্রপত্রিকায় অর্থাৎ লিখিতভাবে পুস্তকের যে সমস্ত আলোচনা করা হয় বা প্রকাশিত হয় তাই লিখিত সমালোচনা। লিখিত সমালোচনাকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা যায়:
ক. দেশের মাসিক, সাপ্তাহিক ও দৈনিক পত্রিকাগুলোতে পত্রিকার বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য সৃষ্টির জন্য পুস্তক সমালোচনাসহ বিভিন্ন বিভাগ খোলা হয় এবং পুস্তক সমালোচনা এই কলামে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়।
খ. দেশের বড় বড় পুস্তক ব্যবসায়িরা তাদের পুস্তক ব্যবসার সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন প্রকাশক কর্তৃক সদ্য প্রকাশিত কিছু ভালো পুস্তক, উল্লেখযোগ্য কিছু পুরাতন পুস্তক (যা তাদের দোকানে বিক্রির জন্য মজুদ আছে) সমালোচক দ্বারা সেগুলোর সমালোচনা লিখিয়ে পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা বিক্রি করেন কিংবা বিনামূল্যে বিতরণ করেন।
=========================================
#মূল_আলোচনা:
=============****************=================
#পুস্তক সমালোচনার নীতিমালা:
পুস্তক সমালোচনার কতকগুলো নীতিমালা বিদ্যমান- যা প্রতিপালন করা না হলে যাদের জন্য এই সমালোচনা এবং যে অর্থে এই সমালোচনা তা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। পুস্তক সমালোচনা সঠিকভাবে যথাযথ করা উচিত। পুস্তক সমালোচনায় অহেতুক বাক-বিতন্ডার কোনো অবকাশ না থাকাই ভালো। অলঙ্কাররূপক ব্যবহার করে রচনা দীর্ঘ করার প্রচেষ্টা নিরর্থক। যে সমালোচনা পুস্তকের পরিচিতি, মূল্যায়ন ও নির্বাচন কাজে অত্যন্ত সহায়ক তাই যথার্থ পুস্তক সমালোচনার মূল বিষয় হওয়া উচিত। অতিমাত্রায় আবেগপ্রবণ হয়ে বা গ্রন্থ ও লেখকের প্রতি বিরক্ত বা শ্রদ্ধা না রেখে বা বিরক্তির ভাব পোষণ না করে সমালোচনা করা উচিত। সমালোচক যদি পুস্তক ও লেখক সম্পর্কে একতরফা মত প্রকাশ করেন তাহলে পুস্তকের যথার্থ মূল্যায়ন ব্যাহত হয়। পাঠকও এ সমালোচনায় বিভ্রান্ত হন। যে কোনো জিনিসের মূল্যায়ন বা সমালোচনার জন্য একটি মানদ- প্রয়োজন। পুস্তক সমালোচনার ক্ষেত্রেও মানদ- থাকা প্রয়োজন। যা সমালোচক নিজ চোখে দেখে পুস্তকের সঠিক সমালোচনা করবেন। পুস্তকের সদগুণ বা মন্দ কিছুকে বুঝবার জন্য তুলনামূলক বিচার বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। এই বিশ্লেষণ বা মূল্যায়ন পুস্তকের সঠিক দিক-নির্দেশনা দিবে। অকারণে কোনো অস্পষ্টতা সৃষ্টি হলে লেখক ও পাঠকের মধ্যে ব্যবধান রচিত হবে, এতে করে পুস্তকের মানদ- নির্ধারণে অসুবিধা হবে এবং সর্বোপরি তা কারোই কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। একজন আদর্শ সমালোচক তার নিজস্ব চিন্তা-চেতনা, মনন ও মেধা দিয়ে যেমন মানবীয় ও কল্যাণকর দিক রচনা করবেন তেমনি একজন যোগ্য সমালোচক পাঠক মনে নতুন চিন্তা-চেতনা, নতুন মূল্যবোধ ও বিচার শক্তির উন্মেষ ঘটিয়ে পুস্তকের সঠিক মানদণ্ডের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে নতুন নতুন পাঠক সৃষ্টি করতে উদ্যোগী হবেন। পুস্তক সমালোচনা প্রস্তুত করার জন্য কতকগুলো সাধারণ নীতিমালা বা কলাকৌশল আছে যা মেনে চললে অনেক অপূর্ণতা এড়ানো সম্ভব। নিম্নে কয়েকটি বিষয় পর্যালোচনাপূর্বক তা বিশদভাবে আলোচনা করা হলো-
কোনো কিছুর সদগুণ বা মন্দ কিছুকে বুঝবার জন্য তুলনামূলক বিচার-বিশ্লেষণ প্রত্যাশা জরুরি। এই বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন বা কোনো কোনো কারণে কোনো অস্পষ্টতা সৃষ্টি হলে, লেখক ও পাঠকের মধ্যে ব্যবধান রচিত হবে তা তেমন কোনো সুফল বয়ে আনবে না। সমালোচনা যদি সত্যি হয় এবং তাতে যদি সমালোচকের চিন্তা-চেতনা ও মেধার উন্মেষ ঘটে তবে তা সাহিত্যের মানবীয় ও কল্যাণকর সম্ভাবনার স্বার্থে একজন যোগ্য সমালোচক পাঠক মনে নতুন চিন্তা-চেতনা ও মূল্যবোধ সৃষ্টি করবেন এবং নতুন নতুন পাঠক তৈরি করতে সক্ষম হবেন।
======================================================
#পুস্তকের পরিচিতি:
যে কোনো জিনিসের পরিচিতি তাকে দারুণভাবে পরিচয় বহন করে। পুস্তকের সাধারণ পরিচিতি যথা- পুস্তকের শিরোনাম, লেখকের নাম, প্রকাশকের ঠিকানা, শিল্পীর নাম, প্রকাশের সাল, তারিখ, পুস্তকের পৃষ্ঠা সংখ্যা, টাইপ ব্যবহার, বাঁধাই, মূল্য ইত্যাদি পুস্তকের পরিচিতি বহন করে থাকে। যে কোনো পাঠক ও গবেষক এই উপাদানের মাধ্যমে একটি পুস্তক সম্পর্কে সহজে জানতে পারে।
=====================================================
#লেখকের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা:
যোগ্যতা মানুষের একটি বিশেষ গুণ। যিনি বা যে ব্যক্তি পুস্তকটি রচনা করেছেন তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা উন্নত থাকাটাই স্বাভাবিক। যোগ্যতা না থাকলে ভালোভাবে পুস্তক রচনা করা যায় না। অর্থাৎ নিজে না জানলে অন্যকে কীভাবে তিনি জানান দেবেন। তাই পুস্তকটি যে ব্যক্তি কর্তৃক লিখিত হয়েছে তার যোগ্যতা থাকা বাঞ্চনীয়।
=====================================================
#লেখকের বক্তব্য প্রকাশ:
বক্তব্য প্রকাশে লেখকের সার্থকতার পরিমাপ করা যায়। পুস্তকে লেখক কি বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তা সহজে জানা যায়। পুস্তক রচনা করতে গিয়ে লেখক কোথায় কি ধরনের বাক্য, উপমা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি উল্লেখ করেছেন তা লেখকের বক্তব্যে উপস্থাপন করে থাকেন। এটি সাধারণত ভূমিকাতেই উপস্থাপিত হয়ে থাকে। এটি পাঠক ও গবেষকের জন্য বেশ উপকার বহন করে ।
=====================================================
#পুস্তকের বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
পুস্তকের বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই অংশে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে। লেখক বিভিন্ন পাঠকের জন্য বিভিন্ন পুস্তক রচনা করেন। কোন্ পুস্তকটি গবেষক, কোন্ পুস্তকটি সাধারণ পাঠক, কোন্ পুস্তকটি বৈষয়িক পাঠকের জন্য এবং কোন্ ধরনের গ্রন্থাগারের জন্য পুস্তকটি সংস্থাপিত হবে তার বিশদ বর্ণনা আলোচ্য অংশে বর্ণিত হয়ে থাকে।
====================================================
#পুস্তক সমালোচকের নিরপেক্ষ বক্তব্য উপস্থাপন:
পুস্তকটি সম্পর্কে সমালোচকের অত্যন্ত নিরপেক্ষ ব্যক্তিগত মতামত। এক্ষেত্রে পুস্তকটির গুণাগুণ বর্ণনা, ভাষা সম্পর্কে বক্তব্য অর্থাৎ ভাষা সহজ, সরল বিষয় উপযোগী কিংবা নিছক পান্ডিত্যপূর্ণ এবং পুস্তকটি পাঠক সমাজে কতটুকু অবদান রাখতে সক্ষম প্রভৃতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় আলোচনা অপরিহার্য। সমালোচনা ছাড়া পুস্তক অনেকাংশে অস্পষ্ট, অসম্পূর্ণ। তাই সাহিত্যের স্বার্থে, পাঠকের স্বার্থে এবং সর্বোপরি গ্রন্থ জগতের আকাক্সিক্ষত ভারসাম্যের লক্ষ্যে পুস্তক সমালোচনা যথার্থ ও গঠনমূলক হওয়াই বাঞ্চনীয়।
====================================================
#এছাড়াও পুস্তক সমালোচনার মাধ্যমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো উপস্থাপিত হয়ে থাকে:
* নতুন পাঠ তৈরি করা:
যে কোনো জিনিসের মূল্যায়নের জন্য সমালোচনার প্রয়োজন। কোনো কিছুর সদগুণ বা মন্দ কিছুকে বুঝবার জন্য তুলনামূলক বিচার-বিশ্লেষণ প্রত্যাশা জরুরি। এই বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন বা কোনো কোনো কারণে কোনো অস্পষ্টতা সৃষ্টি হলে, লেখক ও পাঠকের মধ্যে ব্যবধান রচিত হবে তা তেমন কোনো সুফল বয়ে আনবে না। সমালোচনা যদি সত্যি হয় এবং তাতে যদি সমালোচকের চিন্তা-চেতনা ও মেধার উন্মেষ ঘটে তবে তা সাহিত্যের মানবীয় ও কল্যাণকর সম্ভাবনার স্বার্থে একজন যোগ্য সমালোচক পাঠক মনে নতুন চিন্তা-চেতনা ও মূল্যবোধ সৃষ্টি করবেন এবং নতুন নতুন পাঠক তৈরি করতে সক্ষম হবেন।
* অহেতুক সমালোচনা না করা:
অহেতুক সমালোচনা কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুস্তকের পরিচিতি দারুণভাবে ব্যাহত করে। পুস্তক সমালোচনায় অহেতুক বাক-বিতন্ডার সুযোগ নেই। অলঙ্কার রূপক ব্যবহার করে দীর্ঘ প্রবন্ধ রচনার প্রচেষ্টা নিরর্থক। পুস্তকের বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও পুস্তকটি যে যে বিষয় নিয়ে রচিত এবং পুস্তকে যা উদঘাটিত হয়েছে তা নিয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে আলোচনা করা সমীচীন। অহেতুক আলোচনা পুস্তক, লেখক ও প্রকাশের অনেক ক্ষতি করে থাকে যা কারোই কাম্য নয়। তাই পুস্তক সমালোচনায় সমালোচককে যথেষ্ট যত্নবান হতে হবে।
* সমালোচনার মানদন্ড নির্ধারণ করা:
যে কোনো জিনিসের মূল্যায়ন বা সমালোচনার জন্য একটি মানদ- থাকা প্রয়োজন। সমালোচনা দ্বারা পুস্তক সমালোচার মানদ- নির্ধারিত হয়। আমরা যে কোনো কিছুর ভালোটাই সবসময় আশা করি। কোনো কিছুকে বুঝবার জন্য ভালো বা মন্দ তুলনামূলকভাবে বিচার বিশ্লেষণ প্রত্যাশা করি। সমালোচনা দ্বারা সাহিত্যের মানবীয় গুণাবলী প্রকাশিত হয়। কল্যাণকর হয় পুস্তকের পরিচিতি। এই স্বার্থে একজন যোগ্য সমালোচক সমালোচনার মানদ- নির্ধারণ করতে সক্ষম হন।
* পুস্তক সমালোচনার গুরুত্ব বিবেচনা করা:
যে সমালোচনা পুস্তকের পরিচিতি, মূল্যায়ন ও নির্বাচন কাজে অত্যন্ত সহায়ক ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে তা-ই যথার্থ পুস্তক সমালোচনা হিসেবে গ্রাহ্য। অতিমাত্রায় আবেগপ্রবণতা কিংবা গ্রন্থ ও গ্রন্থকার সম্পর্কে পূর্বাহ্নে কোনো শ্রদ্ধাবোধ বা বিরক্তির ভাব হৃদয়ে পোষণ করা সমালোচকের জন্য শুভ নয়। কারণ, এ ক্ষেত্রে সমালোচক একতরফা মত প্রকাশে আগ্রহী হন- পুস্তকের যথার্থ মূল্যায়ন ব্যাহত হয়। পাঠক এ ধরনের সমালোচনা পাঠে বিভ্রান্তির শিকার হতে বাধ্য।
* লেখকের মূল্যায়ন করা:
সমালোচনা পুস্তকের প্রকৃত পরিচয় বহন করে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে যে সমালোচনা পুস্তকের পরিচিতি, মূল্যায়ন, বিষয়বস্তুর নির্ধারণ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে সেই সমালোচনা করা উত্তম। আবেগ তাড়িত হয়ে সমালোচনা করা উচিত নয়। প্রকৃত অর্থে পুস্তকটি রচনা করতে গিয়ে লেখক যে সকল বিষয় ও বিষয়সমূহ অবতারণা করেছেন তার প্রকৃত বর্ণনা প্রদান করাই একজন সমালোচকের কাজ। কারো গুণকীর্তন না করে প্রকৃত জিনিস উপস্থাপন করতে হবে। কোনো বিষয় সংযোজন ও বিয়োজনের প্রয়োজন হলে তা সমালোচনায় নিয়ে আসাই প্রকৃত সমালোচকের কাজ। প্রকৃত সমালোচার মাধ্যমে পুস্তকের যেমন পরিচিতি লাভ হয়, তেমনি লেখকেরও মূল্যায়ন হয়।
#উপসংহার:
একজন সমালোচক লেখক ও পাঠকের মধ্যে একটি বিশ্বস্ত যোগসূত্র স্থাপন করে থাকে। গঠনমূলক সমালোচনার দ্বারা সমালোচক রচয়িতার অভিভাবক, শিক্ষকের আসনে উপনীত হতে পারেন কিন্তু নেতিবাচক সমালোচনার দ্বারা তিনি আবার শত্রুতেও পরিণত হতে পারেন। লেখকের রচনায় তথ্যের ঘাটতি থাকতে পারে তাই বলে তার লেখাকে একবারে অর্থহীন এবং তাকে মূর্খ বলে তিরষ্কার করা করা যাবে না। অপ্রাসঙ্গিক বা নেতিবাচক সমালোচনা লেখক এবং পাঠক উভয়েরই ক্ষতি করে থাকে। নেতিবাচক সমালোচনা দ্বারা লেখক শিক্ষা গ্রহণের উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। ফলে তার অপূর্ণতাগুলো আর কোনো দিন পূর্ণতায় ভরপুর হতে পারে না। আর পাঠকের ক্ষতি হলো- ঐ লেখকের কাছ থেকে উন্নতমানের রচনা পাওয়ার আর আশা থাকে না।
লেখক, প্রকাশক ও পাঠক এই তিনের সম্মিলনে প্রকাশনা জগত। প্রকাশনা জগত সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রসারের একটি স্বতন্ত্র জগত। কবি, সাহিত্যিক, লেখক, পাঠক, প্রকাশন এই জগতের বাসিন্দা। এই জগত গঠিত শুধুমাত্র পুস্তক ও পুস্তক জাতীয় জিনিস নিয়ে। তাই পুস্তকের বিষয়াদি নিয়ে এই জগতের সার্বিক আলোচনা, সমালোচনা। পুস্তকের ভালো-মন্দ দিক, পুস্তকের পরিচিতি, আলোচনা, সমালোচনা ইত্যাদি করাই এই জগতের প্রধান কাজ। প্রকাশনা জগতে একখানি পুস্তকের আত্মপ্রকাশ ঘটে পাণ্ডুলিপি থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণের মাধ্যমে। পুস্তক প্রকাশ হওয়ার পর প্রকাশক, বন্টনকারী এবং বিক্রেতার সহায়তায় পুস্তক বাজারে আসে এবং পুস্তকটি ক্রয়ের আগে, পাঠ করার আগে পুস্তকটি সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা সমালোচনায় অন্তর্ভুক্ত থাকে। একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও মেধাসমৃদ্ধ সমালোচক পরোক্ষভাবে লেখক এবং লেখাকে নিয়ন্ত্রণ করে পুস্তকের যথাযথ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিচার করেন। বস্তুত: লেখকের লেখার প্রাথমিক মূল্যায়ন ঘটে এই সমালোচনার মাধ্যমে।

Uncategorized

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি – কীভাবে সিরিয়া এমন হলো

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
#আন্তজার্তিক
কীভাবে সিরিয়া এমন হলো
সূত্র: প্রথম আলো ,১৮ এপ্রিল ,২০১৮
জাতিগত দ্বন্দ্ব আর আন্তর্জাতিক কূটচালে পড়ে একটি দেশ কীভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, তা সিরিয়ার অবস্থা না দেখলে বোঝা যায় না। সাত বছর ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে। ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেনের পথ ধরে সিরিয়ায় রক্ত ঝরছে। এ যেন রক্তের স্রোতোধারা, না থেমে বাড়ছে দিন দিন। বিশ্বব্যাপী নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের আহাজারিতে বিশ্ব মানবাধিকার যেন মুখে যেন কুলুপ এঁটে আছে।
কিন্তু কিছু সময়ের জন্য সিরিয়ার শিশু আয়লান কুর্দির নিষ্প্রাণ শরীর তুরস্কের সৈকতে পড়ে থাকতে দেখে বিশ্ববিবেক প্রচণ্ডভাবে নড়ে উঠেছিল। আয়লানের ছোট নিথর দেহের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরই ঘুম ভাঙে বিশ্ববাসীর। কিন্তু এখনো যে বিশ্বের দাবার ঘুঁটির নড়াচড়ায় আয়লানরা গুরুত্বহীন, তা সিরিয়া যুদ্ধই প্রমাণ করে। প্রতিদিন নাম না-জানা আয়লান কুর্দিদের চলে যেতে হচ্ছে এর কবলে পড়ে।
এর শুরুটা দীর্ঘ সাত বছর আগে। এ গৃহযুদ্ধে লাখ লাখ লোক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচ লাখ। দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়ে সিরিয়ার প্রায় অর্ধেক মানুষ।
================
সংকটের শুরু যেভাবে
================
২০১১ সালে বিশ্বে আরব বসন্তের আগমন। তিউনিসিয়া টালমাটাল। এর ধারায় পরে যোগ দেয় মিসর, লিবিয়া। অনেকে মনে করেছিলেন, সিরিয়ায় হয়তো আরব বসন্তের প্রভাব পড়বে না। কেননা দেশটিতে গত ৪০ বছর ধরে নিজেদের শাসন পাকা করে ফেলেছেন বাসার আল-আসাদের বাথ পার্টি। এ ছাড়া বাশার ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কায়েমে অনেক সুন্নি মুসলিমেরও সমর্থন ছিল। কিন্তু সিরিয়ায় গল্পটির শুরু একটু ভিন্নভাবে।
ছোট ঘটনা থেকে বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে। ২০১১ সালের মার্চের মাঝামাঝি সময় সরকারবিরোধী গ্রাফিতির কারণে চারজনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে সরকারি বাহিনী। দেশটির ডেরা শহরের এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে সরকারি বাহিনী ব্যাপকভাবে গুলি ছোড়ে। কয়েকজন বিক্ষোভকারী মারা যান। সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশে।
বাশার আল-আসাদ ট্যাংক, আর্টিলারি এবং হেলিকপ্টার গানশিপ সহকারে দেশব্যাপী অপারেশন চালায়। মাত্র তিন মাসে ২০১১ সালের জুলাই নাগাদ প্রায় ১৬ হাজার বিক্ষোভকারী নিহত হন।
এরপরের ঘটনাপ্রবাহ এতই জটিল, সঠিক হিসাব রাখা মুশকিল। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ, শহর দখল, দখল থেকে মুক্ত, আবার পুনর্দখলের মধ্য দিয়ে সাত বছর চলে গেল। এতে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। তালিকায় আছেন নিরীহ জনগণ, সেনাসদস্য, বিদ্রোহী এবং সরকারি সমর্থকেরাও।
পশ্চিমারা আসাদকে হটিয়ে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’-এর জন্য মাঠে নামে। বিক্ষোভকারীরা প্রথমে অগোছালো থাকলেও ধীরে ধীরে বাইরের সমর্থনে সংগঠিত হয়। সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নানান পক্ষ আর উপলক্ষ থাকলেও বিদ্রোহীরা একত্র হয়ে একটি সংগঠিত ফোর্স গঠন করেছে। এর নাম দিয়েছে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি। এরপর থেকে লাশের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, ২০১২ সালে ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শরণার্থী হয়েছে পাঁচ লাখের মতো।
===============
সিরিয়ার জাতিগোষ্ঠী
===============
রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের এক পক্ষে রয়েছে সিরিয়ায় ৪০ বছর ধরে শাসনকারী আলওয়াইটস গোত্রের নেতৃত্বে বাথ পার্টি এবং তাদের সমমনারা। অন্যদিকে আছে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা, যাদের মধ্যে আছে সিরিয়ার ৬০ শতাংশ সুন্নি জনগোষ্ঠী এবং তাদের সমমনারা।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে রাশিয়া, ইরান সব বিষয়ে বাশার আল-আসাদ সরকারের পক্ষে থেকেছে। যুক্তরাষ্ট্র বা তাদের ইউরোপীয় মিত্ররা বিপক্ষে। জাতিসংঘে সিরিয়ার বিরুদ্ধে সব প্রস্তাবের ভেটো দিয়েছে এরা। আর আরব লিগ শুরু থেকেই দোটানা অবস্থায়।
সিরিয়ার নাগরিকদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ সুন্নি। এর মধ্যে কুর্দি ৯ শতাংশ ও বাকিরা আরবীয়। ১২ দশমিক ৮ শতাংশ আলওয়াইটস আরব, ১৩ শতাংশ ক্রিশ্চিয়ান, যাদের মধ্যে ৯ শতাংশ অর্থোডক্স এবং ৪ শতাংশ আর্মেনিয়ান, দ্রুজ আরব ৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং ইসমাইলি শিয়া ৩ শতাংশ।
আলাউই গোত্রকে ফ্রান্সের শাসকদের ডাকা উচ্চারিত অপভ্রংশ থেকে আলওয়াইটস নামটা এসেছে। আগে এদের নুসায়রি বলেই বেশি ডাকা হতো। নুসায়রি শব্দটি থেকে আলাউই শব্দটি বেশি গ্রহণযোগ্য। কারণ, আলওয়াইটস শব্দটার অর্থ হচ্ছে হজরত আলীর অনুসারী।
=========================
ফ্রি সিরিয়ান আর্মি গঠন (এফএসএ)
=========================
বাশার সরকার পতনের লক্ষ্যে ২০১১ সালের জুলাইয়ে সামরিক বাহিনীর বিদ্রোহীরা ফ্রি সিরিয়ান আর্মি গঠনের ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণার মধ্য দিয়েই সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। কিছুদিনের মধ্যেই সশস্ত্র সংঘাত ভয়ংকর রূপ নেয়।
১৯৮২ সালে বাশারের বাবা হাফিজ আল আসাদ মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপর সামরিক অভিযানের আদেশ দিয়েছিলেন। হাজারো মানুষকে হত্যা করা হয়। আর এর জেরে ব্রাদারহুডের কর্মীরাও ফ্রি সিরিয়ান আর্মিতে যোগ দেন।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ায় সামরিক বাহিনী আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় একটি জয় পায়। এরপর থেকে এফএসএর নিয়ন্ত্রণ এলাকার সংখ্যা কমতে শুরু করে। ফ্রি সিরিয়ান আর্মি সফল না হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, এরা একটি দল হয়েছে মাত্র, কিন্তু সত্যিকারের সেনাবাহিনীর হতে পারেনি।
===========================
রাশিয়া, আমেরিকা ও মিত্রদের হস্তক্ষেপ
===========================
প্রথমে শুধু হালকা অস্ত্র এবং মর্টার বা এ ধরনের অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করলেও ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ ফ্রি সিরিয়ান আর্মি তুরস্ক থেকে সরাসরি মদদ পায়। ২০১১ সালের অক্টোবরে সরকারি সেনার ওপর ট্যাংক এবং হেলিকপ্টার সহযোগে প্রথম হামলা চালায় কোম শহর দখল করার জন্য। এরপর থেকে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি দেশের অনেক অংশ দখল করে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদেশিদের নগ্ন হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। ২০১৫ সালে দৃশ্যপটে রাশিয়ার সরব উপস্থিতি। শিয়া ইরান ও ইরাক সরকার এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ বাশার আল-আসাদকে সমর্থন-সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ তুরস্ক, কাতার এবং সৌদি আরব আসাদবিরোধীদের সমর্থন ও সহযোগিতা করে আসছে।
২০১৬ সাল মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ইসলামিক স্টেট (আইএস) সিরিয়ার পাকাপোক্তভাবে ঘাঁটি গেড়ে বসে। একের পর এক হামলায় জেরবার করে সিরিয়ার সরকারকে।
যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই অস্ত্র দিয়ে বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করে আসছে। ২০১৪ সালে তারা আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শুরু করে। বিশ্লেষকেরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আইএস প্রতিষ্ঠা করে সিরিয়ায় নিজেদের প্রবেশ নিশ্চিত করে।
এরই মধ্যে ইসরায়েল সিরিয়ায় বোমা হামলা চালায়। পক্ষান্তরে সিরিয়ান সেনাবাহিনী ইসরায়েলের বিমান ভূপাতিত করে।
‘সত্য জানার অধিকার তোমার আছে, আর সত্যই তোমাকে মুক্ত করবে’—এ আদর্শ নিয়ে ১৯৪৭ সালে যাত্রা শুরু করা আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ২০১৩ সালে আসাদবিরোধীদের অস্ত্র, তহবিল ও প্রশিক্ষণের জন্য গোপন কর্মসূচি চালু করে। কর্মসূচির খবর ফাঁস হয়ে হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় এর কার্যক্রম। তখন শোনা গিয়েছিল, সিআইএ ৫০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়া সিরিয়ায় ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ও আইএসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করে। এদের বিরুদ্ধে বোমা হামলা শুরু করে। আসাদের জন্য সামরিক উপদেষ্টাও নিয়োগ করে রাশিয়া।
==============
শান্তি আলোচনা
==============
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও বেশি সময় ধরে চলছে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ। যুদ্ধবিরতি এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য সিরিয়ার সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু থেকেই চলছে।
জেনেভা
২০১২ সালের জুনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সিরিয়ার সরকার ও বিরোধী প্রতিনিধিদের মধ্যে জাতিসংঘের আলোচনার প্রথম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। পরিবর্তনশীল সরকারে আসাদের ভূমিকা নিয়ে একমত হতে না পারায় আলোচনা ব্যর্থ হয়।
আস্তানা
রাশিয়া, ইরান ও তুরস্ক সিরিয়ায় নিরাপদ অঞ্চল তৈরির ব্যাপারে ২০১৭ সালের মে মাসে একমত হয়।
সোচি
কৃষ্ণসাগরের সোচিতে এ বছরের জানুয়ারিতে সিরিয়া সরকার শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বিদ্রোহীরা সেই আলোচনা প্রত্যাখ্যান করে।
মৃত্যু, লাখো শরণার্থী বিদেশে
দীর্ঘ সময় ধরা চলা যুদ্ধের কারণে মানুষ সিরিয়া ছেড়ে চলে যায়। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) হিসেবে আনুমানিক ১০ মিলিয়ন মানুষ সিরিয়া ছেড়ে গেছে।
লেবানন, জার্মানি, ইরান ও তুরস্ক সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়। তাদের অনেকে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছে আরও ভালো সুবিধা পাওয়ার জন্য। তবে ২০১৭ সালে ৬৬ হাজার শরণার্থী আবার নিজভূমে ফিরে আসে।
সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র হামলার অভিযোগের মধ্যই বিশ্বে বাড়তে থাকে শরণার্থী ও মৃতের সংখ্যা। ২০১৪ সালে ৭৬ হাজার প্রাণ যায়। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৫৫ হাজারে। কোনো কোনো পরিসংখ্যানে বলা হয় এ সংখ্যা লাখ পেরিয়েছে।
===============
যুদ্ধের নাটকীয় মোড়
===============
সিরিয়া যুদ্ধের নাটকীয় পরিবর্তনের শুরু ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। রাশিয়া সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ওপর সরাসরি বিমান থেকে বোমাবর্ষণ শুরু করে। তখন থেকে বিদ্রোহীদের ওপর এখনো চলছে রুশ বাহিনীর বিমান হামলা। রুশদের সহায়তায় একে একে দামেস্কের বড় অংশ ও আলেপ্পো শহরে নিজেদের হারানো নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় বাশারের সেনারা।
২০১৫ সালের দিকে রাশিয়ার কাছে সিরিয়াই ছিল মধ্যপ্রাচ্যে ভালোভাবে পা রাখার একমাত্র স্থান। সেটি তারা হারতে চাইছিল না। আবার ইরান মনে করেছিল, সিরিয়ার পতন ঘটলে, সে মিত্র হারাবে। এই প্রেক্ষাপটে ইরান ও রাশিয়ার সরাসরি অংশগ্রহণের ফলে যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক ও সৌদি আরব-সমর্থিত বিদ্রোহীরা বেশ পিছিয়ে পড়তে থাকে। এই গত ডিসেম্বরে আলেপ্পোর পতন মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের জন্য ভয়ংকর আঘাত।
একসময় সব পক্ষই বুঝতে পেরেছে, সামরিকভাবে সিরিয়া সংকটের সমাধান হবে না। সমাধান করতে হবে আলোচনার টেবিলে বসে। কিন্তু শান্তি আলোচনার ভিত্তি কী হবে? আরব বসন্তের শুরুতে আসাদ ছিলেন কোণঠাসা। যেকোনো মুহূর্তে পতনের ধারণাও সৃষ্টি হয়েছিল। কেটে পড়তেও প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু তখনবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তা না মেনে চেয়েছিলেন পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু ইরান, রাশিয়া এবং হিজবুল্লাহর দাবার চাল ওবামাদের হিসাব পাল্টে দেয়। যতই দিন গেছে, আসাদের শক্তি বেড়েছে। এখন অবস্থান বেশ শক্ত।
রাশিয়াও তার ঘাঁটির সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না। যুদ্ধের মধ্যেই আসাদ সরকারের সঙ্গে তারা চুক্তি করছে। ইরান তার প্রভাব বৃদ্ধির প্রক্রিয়াতে সচেষ্ট। অন্যদিকে তুরস্কও সিরিয়ার দিকে নজর দিয়েছে। তবে যুদ্ধের শুরুতে তুরস্ক ছিল প্রচণ্ডভাবে রুশবিরোধী। কিন্তু এখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তুরস্কের এরদোয়ানের চমৎকার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ বোঝাপড়া সিরিয়া যুদ্ধের মোড় ঘোরানোর অন্যতম কারণ।
==============
সর্বশেষ পরিস্থিতি
:
==============
বাশার আল-আসাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র হামলার অভিযোগ তুলে গত শুক্রবার রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, হামলায় তিনটি দেশই সর্বাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যবহার করেছে। লোহিত সাগরে অবস্থান করা মার্কিন যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বি-১ ল্যান্সার বোমারু উড়োজাহাজও ব্যবহার করেছে। পেন্টাগনের একটি সূত্র জানিয়েছে, সিরিয়ার তিনটি স্থানকে লক্ষ্য করে মোট ১০৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে কমপক্ষে ৫৯টি টমাহক মিসাইল। এ ছাড়া বি-১ ল্যান্সার বোমারু উড়োজাহাজ থেকে নিক্ষেপ করা হয় ১৯টি স্ট্যান্ডঅফ মিসাইল।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সিরিয়ায় তিন দেশের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় বেশির ভাগ মিত্রদেশের সমর্থন পেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইরের বিশ্বের প্রতিক্রিয়াও মিশ্র। তবে নিজেদের অঞ্চলে এ হামলা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে আরব বিশ্ব। সম্মেলনে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ওই অঞ্চলে ইরানের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ তীব্র নিন্দা জানান।
সৌদি আরব ও তার মিত্ররা সিরিয়ায় হামলার ঘটনাকে সমর্থন দিচ্ছে। তবে ইরাক ও লেবানন এর নিন্দা জানিয়েছে। আরব বিশ্বের বাইরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ন্যাটোসহ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররাও সিরিয়ার হামলাকে সমর্থন করেছে।
তবে সিরিয়ার মিত্র রাশিয়া বলেছে, সিরিয়ার বৈধ সরকারকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তাদের সহায়তার সময় এ হামলা খুবই নিন্দনীয়।
সিরিয়ার দুমায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো ওই হামলার জন্য সিরিয়া ও তার মিত্র রাশিয়াকে দায়ী করে আসছে। সিরিয়াকে ঘিরে কেউ কেউ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কাও করছেন। তবে এ আশঙ্কা সত্যে পরিণত হবে না বলেই মনে হয়। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া দুই পক্ষই জানে, যুদ্ধের পরিণতি হবে ভয়াবহ। ফলে সরাসরি যুদ্ধ না বাধিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের কায়েমি স্বার্থ জিইয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সহযোগীদের দিয়ে প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

 

The Daily Star Vocabulary

The Daily Star Vocabulary – 18 April 18

18-04-2018
Daily Star Vocabulary

###- South Korea and the end of US credibility….(opinion)

1. dramatic geopolitical success – নাটকীয় ভূ-রাজনৈতিক সাফল্য

2. longstanding relationship – দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক

3. far-reaching reforms – সুদূরপ্রসারি সংস্কার

4 denounce – নিন্দা করা (condemn,vilify, defame)

5. domestic expenditures and increase domestic savings – গার্হস্থ্য ব্যয় এবং গার্হস্থ্য সঞ্চয় বৃদ্ধি

6. bureaucratic burden – আমলাতান্ত্রিক বোঝা

7. utterly incomprehensible – সম্পূর্ণরূপে অন্তর্নিহিত

Full Column Link…..( https://www.thedailystar.net/…/south-korea-and-the-end-us-c…)

###- Right to return, repression and resistance…..(editorial)

1. ancestral land – পূর্বপুরুষের জমি

2. illegal occupiers – অবৈধ দখলদার

3 disproportionate force – অস্পষ্ট শক্তি

4. abet – অসৎ কাজে মদত দেওয়া

5. brutalised and terrorised – নিষ্ঠুরতা এবং সন্ত্রাসী

6. conscientious ধর্মবুদ্ধিচালিত

Full Column Link……( https://www.thedailystar.net/…/right-return-repression-and-…)

### – Ensure compensation in Rajib case……. (sub-editorial)

1. compensation – ক্ষতিপূরণ

2. deeply saddened – গভীরভাবে দুঃখিত

3. condolences – সমবেদনা

4. severe punishment – কঠোর শাস্তি

Full Sub Editorial……

Ensure compensation in Rajib case.
Extend all legal support to his family
We are deeply saddened to hear that Rajib Hossain, the student who lost his arm to a race between two buses in the Karwan Bazar area in the capital, passed away in the early hours of Tuesday at Dhaka Medical College Hospital where he was on life support. Rajib was a guardian to his two younger brothers as both their parents had died years ago. We would like to extend our condolences to the family as they grapple with the unspeakable tragedy.

The High Court had earlier ordered the owners of the two buses—BRTC and Swajan Paribahan—to bear Rajib’s treatment cost and issued a rule earlier this month asking the government and bus owners to explain in four weeks’ time why they shouldn’t be directed to pay compensation of Tk 1 crore to Rajib. Now that Rajib has succumbed to his injuries, the case for compensation has only gotten stronger. The precedent has already been set by the landmark verdict in the Tareque Masud case where the High Court ordered the bus owners, bus driver and insurance company to pay Tk 4.61 crore in compensation.

Bus owners and bus drivers involved in Rajib’s case too should be made to compensate Rajib’s family. Rajib’s two younger brothers depended on him for financial support for their education. Although not many are aware of it, the Motor Vehicles Ordinance 1983 allows victims’ families to seek compensation, and cases can be filed with the district Motor Vehicles Accident Claim Tribunal. Filing such cases is an exception in the country despite the high number of road accidents that have cost way too many lives. But this trend ought to be reversed. We hope the authorities will extend all legal support to Rajib’s family and leave no stone unturned in ensuring justice for his untimely death, which includes severe punishment for the bus drivers.

Uncategorized

Writing – Some important and easy Connector

৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
ইংরেজি বাক্যে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কিছু connector ব্যবহার করলে লেখার মান বেডে যায় । চলুন দেখে নিই
Firstly- প্রথমত
At first=প্রথমত,সর্বপ্রথম
At last=অবশেষে,সবশেষে,সর্বশেষ
At best = পারতপক্ষে
Since=কারণ , যেহেতু , যে সময়ে
In that=কারণ
As= কারণ, যেহেতু, যে সময়ে, যিনি
Because of কারণ ,হেতু,যেহেতু
In case of কারণ ,হেতু,যেহেতু
Moreover =তাছাড়া,অধিকন্তু
More= আরো , চেয়ে বেশি , অধিকতর
So= সুতরাং ,অতএব , অতটা , ও
Therefore=অতএব , সুতরাং
Similarly= অনুরূপভাবে, একইভাবে
Thus= এভাবে , এতএব
Firstly= প্রথমত, প্রধানত
Finally= সর্বষেশ , শেষে
.
Besides = এগুলো ছাড়াও , অধিকন্তু
Beside= পাশাপাশি ,
.
That= যে ,যা, কারণ, যাতে, ফলে
Even—এমনকি , …এমন হয়
.
In order to=উদ্দেশ্যে,জন্যে
Look Forward to = উদ্দেশ্যে
With a view to = উদ্দেশ্যে
Even if=এমনটি যদিও,এমন যদিও হয়
Rather=বরং,চেয়ে,ঢেড়
So that= যাতে ,যেন, উদ্দেশ্যে
As if=যেন ,যেন মনে হয়
All though=যাতে ,যেন মনে হয়
While=যখন ,যে সময় যদিও ,সত্বেও
Such as=তেমনই , যেমন ।
Frist of all=প্রথমত
Last of all=সর্বশেষ
.
However=যাইহোক
Incidentally=ঘটনাক্রমে
.
Then=তারপর ,তখন
Than= চেয়ে ,থেকে
.
For a while= কিছুক্ষণের জন্য ,আপাতত
Suddenly=হঠাৎ , আচমকা
Unless=যদিও না, … না হলে
Above all=সর্বপরি
Usually=সাধারণত , প্রথাগত
As well as=সাথে ,এবং,ও,আরো
For example = উদাহরণ স্বরূপ
Cite an example=উদাহরণ স্বরূপ
Yet =তথাপি ,তবুও
As Yet = অদ্যাপি
.
Most= প্রায় , বেশির ভাগ
Fore most= প্রধান, অত্যাবশকীয়
For gone Conclusion = পুর্ব সিদ্ধান্ত
.
Actually= প্রকৃতপক্ষে
In fact= প্রকৃতপক্ষে
True to say = প্রকৃতপক্ষে
But also=
Not only….but also= এটি ছাড়া অন্য টিও( একসাথে দুইটি গুণ প্রকাশ করতে
Where as= পক্ষান্তরে ,যেখানে
Where fore = কেন , কোন কারণে
Where of = কিসের
.
After that=তারপর
Instead of= পরিবর্তে ,বদলে
In liew of =পরিবর্তে
.
Meanwhile = উল্লেখ্য , ইতঃপূর্বে
In addition= অধিকন্তু , মোটের উপর
.
Unfortunately=দুর্ভাগ্যবশত
In fact= পকৃত পক্ষে ,মূলত
Likewise=মত , তদ্রুপ
In this connection=এই ক্ষেত্রে ,এই বষয়ে
Furthermore=আরো
Once=একদা , অনেক আগের কথা
Gradually= ধীরে ধীরে , ক্রমান্বয়ে ।
.
Sometimes=মাঝে মাঝে
Above all=সর্বো পরি
Yet=তথাপি, তবুও
As a result=ফলে ,ফলশ্রুতিতে
On the other hand=পক্ষান্তরে, অপরপক্ষে
Nevertheless=তথাপি ,তবুও ,তারপরও
For=জন্য ,তুলনায় ,সুতরাং,সত্বেও ,কারণ
.
Either=দুয়ের যে কোন একটি
Neither=দুয়ের কোনটি নয়
.
Unless.. যদি না
Until=যতক্ষন পর্যন্ত না
Till=পর্যন্ত
Still=তথপি ,তারপরও
.
If=যদি, …হলে
Although=যদিও ,সত্বেও
Though=যদিও,সত্বেও
As long as=যতক্ষন পর্যন্ত
.
Both=উভয়ে,সাথে
As well as = সেই সাথে
Along with = সাথে
As though=যেন , যেন মনে হয়
Even though=এমন যদিও হয়ও
.
So …that=এতই যে…তে পারে না
As …as=যত…তত , মতো
So … as=অতটা … না , মতো … না
Such as=মতো ,ঠিক সেই রকম
Often= প্রায়ই ,মাঝে মাঝে
Never = কখনোই নয়
Always =সব সময় ।
.
No sooner=হতে না হতেই , করতে না করতেই
As soon as = যেই মাত্র , যখনি, মাত্র ,
As soon as possible = যত শীঘ্র সম্ভব ।
.
Lest=পরে ভয় হয়
Whether=যদি কি …না ,
Only= ব্যতীত যে ,ছাড়া ,শুধু
At present= বর্তমানে
In order that= যাতে ,উদ্দেশ্য , লক্ষে
Let alone= দূরের কথা , দূরস্থান , প্রশ্নই আসে না

Though = যদিও
Even Though = তবুও
Despite Of = সত্বেও
Yet = তবুও
Instead = পরিবর্তে

However = যাহা হউক

Consequently = ফলশ্রূতিতে
Otherwise = অন্যথায়
On The Other Hand = অপরপক্ষে
Further More = আরো, অধিকন্তু
Either or = দুজনের উভয়ই
Neither or = দুজনের কেউ নয়

No doubt..নিঃসন্দেহে
Hence..তথাপি
Even if..এমন কি যদি
In fact..প্রকৃত পক্ষে
Thus.. এভাবে
During..সময়ে
Often.. প্রায়ই

The Daily Star Vocabulary

The Daily Star Vocabulary

বিসিএস ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার ইংরেজি মানেই ভোকাবুলারি, তাই নিয়মিত শিখে শব্দভাণ্ডার বাড়ানো উচিত
emulate – অনুকরণ করা
scrutinised – যাচাই-বাছাই
unscathed – অনাহত
commendable initiative – প্রশংসনীয় উদ্যোগ
stereotype – বাঁধাধরা
coercion – বলপ্রয়োগ(forcing, enforcement)
predominantly – প্রধানত
Mushroom growth – আকস্মিক বৃদ্ধি
circumvent – ফাঁদে ফেলা
vigour – প্রাণশক্তি(sap,vim)
reluctant – অনিচ্ছুক(unwilling, shy,loathe)
grim – ভয়ানক(dire,terrible, outrageous)
takes stringent steps – কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ
radical ideology – মৌলবাদ
supple – নমনীয়
emancipation- মুক্তি
expatriate- প্রবাসী/ নির্বাসিত করা
adverse effects – বিরূপ প্রভাব
gloomy subject – দু:খজনক/ হতাশাজনক বিষয় ।